রাতের অন্ধকারে কুয়োর মধ্যে পড়ে গিয়েছিল হাতির বাচ্চাটি। মা হাতি এবং দলের অন্যেরা অনেক চেষ্টা করেও তাকে তুলতে পারেনি। মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি স্থানীয় গ্রামবাসীদের নজরে আসতেই খবর যায় লালগড়ের বন দফতরে। চারটি পে-লোডার এনে কুয়োর পাশের মাটি কেটে হস্তিশাবকটিকে উদ্ধার করে। পরে সেটিকে দলে ফেরানো হয়।
বন দফতর সূত্রের খবর, আমডাঙ্গা গ্রামের কাছে সোমবার রাতে এসেছিল হাতির দল। সে সময় ওই শাবকটি গ্রামের পাশের কুয়োয় পড়ে যায়। কুয়োতে জল ছিল না। রাতেই হাতিদের চিৎকারে গ্রামবাসীরা বুঝতে পেরেছিলেন কোনও ‘অঘটন’ ঘটেছে। মঙ্গলবার ভোরে কুয়োর পাশে হাতিদের দেখে তাঁরা বন দফতরে খবর পাঠান।
খবর পেয়ে বনকর্মীদের সঙ্গে হুলা পার্টির সদস্যেরাও গ্রামে পৌঁছন। আনা হয় পে লোডারও। প্রথমে হুলা পার্টির সদস্যেরা হাতির দলকে দূরে সরিয়ে দেন। এরপর সাবধানে কুয়োর ধারের মাটি কেটে ‘পথ’ বানিয়ে দড়ি বেঁধে টেনে তোলা হয় শাবকটিকে। এক বনকর্মীর কথায়, ‘‘অনেক সময়ই মানুষের ‘ছোঁয়া’ লেগে যাওয়া শাবকদের হাতির দল ফিরিয়ে নেয় না। তাই উদ্ধারের সময় অনেক সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। এ ক্ষেত্রে মা হাতি এবং দলের অন্য হাতিরা ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছে বাচ্চাটিকে।’’
মেদিনীপুরের বিভাগীয় বনাধিকারিক (ডিএফও) সন্দীপকুমার বেরোয়াল বলেন, ‘‘মঙ্গলবার ভোর ৬টা নাগাদ খবর আসে লালগড় রেঞ্জের সখিশোল এলাকায় একটি হস্তিশাবক কুয়াতে পড়ে গিয়েছে। প্রায় ১২-১৫ ফুট গভীর ওই কুয়া থেকে হস্তিশাবককে উদ্ধারের কাজ শুরু হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় ৩ মাস বয়সি শাবকটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। পরে হাতির দল তাকে নিয়ে জঙ্গলে চলে গিয়েছে।
গ্রামবাসী ও বনদফতর সূত্রে জানা যায় , প্রায় ৬ থেকে ৭ দিন ধরে লালগড়ের ঝিটকার জঙ্গলে ৩০-৩৫ টি হাতির একটি দল রয়েছে । প্রতিদিন সন্ধ্যা হলেই খাওয়ারের সন্ধান শুরু করে। প্রায়শই গ্রামের মধ্যেও চলে আসে।