ফাইল চিত্র।
বার্তা আদানপ্রদানের জন্য হোয়াটসঅ্যাপের ধাঁচে নিজস্ব অ্যাপ তৈরি করেছে সেনাবাহিনী। পুরো নাম ‘সিকিওর অ্যাপ্লিকেশন ফর ইন্টারনেট’। সংক্ষেপে ‘এসএআই’ বা ‘সাই’।
সেনাবাহিনীর এক কর্তা জানাচ্ছেন, ‘সাই’ একটি ‘সরল ও নিরাপদ অ্যাপ’। হোয়াটসঅ্যাপের মতো এতেও টেক্সট, ভয়েস ও ভিডিয়ো কলিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। এবং এখানেও যাবতীয় বার্তা সুরক্ষিত রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। এটি তৈরি করেছেন রাজস্থানে সেনাবাহিনীর সিগন্যাল ইউনিটের কমান্ডিং অফিসার কর্নেল সাই শঙ্কর। উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও দক্ষতার জন্য প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের প্রশংসা আদায় করে নিয়েছেন সাই।
সেনাবাহিনীর সদস্যেরা এ বার বাহিনীর নিজস্ব এই অ্যাপের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখবেন। এতে দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা তথ্য যেমন সুরক্ষিত থাকবে, তেমনই বাহিনীর জওয়ান বা কর্তাদের বিদেশি চরেদের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা দূর হবে। কারণ, বারবারই দেখা গিয়েছে, সামরিক বাহিনীগুলির সদস্যেরা বেসরকারি বা বহুজাতিক সংস্থার বার্তা লেনদেনের অ্যাপ কিংবা সামাজিক মাধ্যমগুলি ব্যবহার করায়, তথ্য ফাঁসের ঝুঁকি তৈরি হয়। নারী সঙ্গের টোপ দিয়ে তাঁদের কাছ থেকে গোপন সামরিক তথ্য হাতানোর চেষ্টাও একাধিক বার সামনে এসেছে। বিদেশি গুপ্তচর সংস্থাগুলি এই সব সোশ্যাল মিডিয়া এবং মেসেজিং অ্যাপে ফাঁদ পাতে ও নজরদারি চালায়।
হোয়াটসঅ্যাপে কে কাকে কী বার্তা পাঠাচ্ছে, দেশের সুরক্ষার খাতিরে তা জানার প্রয়োজন পড়লেও সে সব তথ্য উদ্ধার করতে বেগ পেতে হয়। প্রেরক ও গ্রাহক ছাড়া আর কেউ যাতে বার্তার নাগাল না-পায় তার জন্য সেগুলিকে সঙ্কেতে পরিণত করার ব্যবস্থা রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপের মতো অ্যাপে। তথ্য পাচারের ঝুঁকি কমাতে এবং বিদেশি ফাঁদ থেকে বাঁচতে, সোশ্যাল সাইটগুলি থেকে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের দূরে থাকার নির্দেশ দেওয়া রয়েছে আগে থেকেই। কিন্তু নিজেদের মধ্যে বার্তা বিনিময়ের কোনও নিজস্ব ব্যবস্থার প্রয়োজন অনুভূত হচ্ছিল বেশ কিছু দিন ধরেই। সাইয়ের তৈরি ‘সাই’ এ বার সেই প্রয়োজন মেটাবে।