গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
অপেক্ষাকৃত ধীরে শুরু হওয়ার পরেও এক সপ্তাহে প্রায় ১৬ লক্ষ মানুষকে করোনা টিকা দেওয়া হয়েছে ভারতে। ১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া টিকাকরণ নিয়ে এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
সারা ভারতে শনিবার ৩ হাজার ৩৬৮টি শিবিরে ১ লক্ষ ৪৬ হাজার মানুষের টিকাকরণ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক এ-ও জানিয়েছে যে, এখনও পর্যন্ত করোনা টিকা নেওয়ার পর যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের কারও ক্ষেত্রেই টিকার কারণে প্রাণহানী ঘটেনি।
প্রশাসন মনে করছে, কো-উইন অ্যাপ ঠিকঠাক কাজ করার কারণে এই পরিসংখ্যান এত সঠিক ভাবে পাওয়া গিয়েছে। রাজধানী দিল্লিতে প্রথম দিলে লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে সমস্যা দেখা দিলেও শনিবারের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, মোট ৬ হাজার ১১১ জনকে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮ হাজার ১০০ জন। ফলে ৭৫ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হয়েছে।
২৪ জানুয়ারি দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ১৪ হাজার হাজার ৮৪৯ জন। গত ১৯ জানুয়ারি দৈনিক সংক্রমণের হার ১০ হাজারে নামলেও তার পর আবারও বেড়েছে এই সংখ্যা। সব মিলিয়ে দেশে করোনা আক্রান্তের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৬ লক্ষ ৫৪ হাজার ৫৩৩।
এখনও পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ৩৩৯ জনের। দৈনিক মৃতের সংখ্যার বিচারে রবিবার নতুন করে ১৫৫ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। তবে আশা দেখাচ্ছে সুস্থতার পরিমাণও। এখনও পর্যন্ত দেশে সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৩ লক্ষ ১৬ হাজার ৭৮৬ জন। শনিবার নতুন করে সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ৯৪৮ জন।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা আলাদা করে বলা হয়েছে।)
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)