নরেন্দ্র মোদী (বাঁ দিকে) এবং জো বাইডেন (ডান দিকে)। —পিটিআই।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তিন দিনের আমেরিকা সফর শেষ হয়েছে। তার পর মিশর ঘুরে ভারতে ফিরেও এসেছেন তিনি। কিন্তু তার পরেও ভারত এবং আমেরিকার বন্ধুত্বের ‘সফর’ জারি রইল। উদ্যোগটা অবশ্য প্রথম নিয়েছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনই। তবে বন্ধুকৃত্য করতে ভোলেননি মোদীও।
মোদীর আমেরিকা সফরে মহাকাশ গবেষণা, প্রতিরক্ষা-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে একসঙ্গে চলার বার্তা দিয়েছে ভারত এবং আমেরিকা। বন্ধুত্বের সেই আবহ বজায় রেখেই বাইডেন একটি টুইটে লেখেন, “ভারত এবং আমেরিকার বন্ধুত্ব বিশ্বের অন্যতম তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়।” দুই দেশ আগের তুলনায় আরও কাছাকাছি এসেছে বলেও বার্তা দেন বাইডেন। রবিবার দেশে ফিরেই ‘বন্ধু’ বাইডেনের টুইটটি রিটুইট করে মোদী লেখেন, “আমি আপনার সঙ্গে একমত জো বাইডেন।” মোদী তাঁর টুইট-বার্তায় আরও লেখেন যে, “এটা (ভারত এবং আমেরিকার বন্ধুত্ব) পৃথিবীকে আরও উন্নত এবং সুস্থায়ী করবে। আমার সাম্প্রতিক সফরে যে বিষয়গুলি গুরুত্ব পেয়েছে, তা আমাদের বোঝাপড়াকে আরও শক্তিশালী করবে।”
মঙ্গলবার সকালে দিল্লি থেকে বিমানে চেপে আমেরিকা পাড়ি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সে দেশে পৌঁছে একাধিক কর্মসূচিতে অংশ নেন তিনি। প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করার পাশাপাশি, আমেরিকার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালন করেন আমেরিকা থেকেই। হোয়াইট হাউস আয়োজিত এক রাজকীয় নৈশভোজেও অংশগ্রহণ করেন মোদী। আমেরিকার কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য মোদীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল বাইডেন সরকার। বৃহস্পতিবার সেই মঞ্চেই ভাষণ দেন তিনি। তাঁর সেই বক্তৃতায় উঠে এসেছিল ভারত-আমেরিকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থেকে শুরু করে গণতন্ত্র, অর্থনীতি, পরিবেশ, সন্ত্রাসবাদ-সহ বিভিন্ন বিষয়। তবে বেশি জোর দিয়েছিলেন আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার বিষয়েই।
আমেরিকা ছাড়ার সময় তাঁর সেই দেশে সফর নিয়েও একটি টুইট করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই টুইটেও উঠে আসে আমেরিকার এবং ভারতের নতুন বন্ধুত্বের কথা। মোদী টুইট করেন, ‘‘বিশেষ আমেরিকা সফরের সমাপ্তি হল। এই সফরে আমি ভারত-আমেরিকার বন্ধুত্বকে গতিশীল করার লক্ষ্যে অসংখ্য কর্মসূচিতে অংশ নিতে পেরেছি৷ বিভিন্ন বিষয়ে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে৷ বিশ্বের আগামী প্রজন্মকে উন্নত ভবিষ্যৎ তুলে দেওয়ার জন্যও দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে।’’ বন্ধুত্বের সেই রেশ রইল সফর শেষের পরেও। বর্তমান ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতেতে যাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেকে।