—ফাইল চিত্র।
ইউক্রেন সরকারের আবেদনে সাড়া ভারতের। যুদ্ধবিধ্বস্ত ওই দেশের প্রধান শহর কিভে ত্রাণ এবং ওষুধপত্র পাঠাতে চলছে কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্রের খবর, ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে রবিবার রাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে যে কেন্দ্রীয় বৈঠক হয়, সেই বৈঠকেই মানবিকতার খাতিরে ইউক্রেনকে ত্রাণ সাহায্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সেনা অভিযান ঘোষণা করার পরেই ভারতের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। কিন্তু ঘটনাচক্রে, রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে রুশ আগ্রাসনের নিন্দা করে আনা প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটি থেকে বিরত ছিল ভারত। এর জন্য মস্কোর প্রশংসাও কুড়িয়েছে মোদী সরকার। এর পর থেকেই ইউক্রেনে আটকে পড়া বহু ভারতীয়ের অভিযোগ, সীমান্ত পেরোতে দিচ্ছেন না ওই দেশের সীমান্তরক্ষীরা। অভিযোগ, সেনা এবং পুলিশ একজোট হয়ে পোল্যান্ড সীমান্ত অঞ্চল থেকে ইউক্রেনের দিকে পাঠিয়ে দিচ্ছে ভারতীয়দের। আতঙ্ক ছড়াতে বার বার শূন্যে গুলি ছোড়া হচ্ছে। প্রায় ৩৬ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পরেও ভিসার লাইন থেকে টেনে টেনে ভারতীয়দের বার করার অভিযোগও রয়েছে।
এই নিয়ে দেশের অন্দরে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার আবহেই মানবতার খাতিরে ইউক্রেনকে ত্রাণ সাহায্যের সিদ্ধান্ত নিল মোদী সরকার। সূত্রের দাবি, ইউক্রেনে ত্রাণ পাঠানো নিয়ে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করা শুরু করেছে কেন্দ্র।
ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয় পড়ুয়াদের কত দ্রুত দেশে ফেরানো যায়, সেই বিষয়টি আলোচনা করতে রবিবার রাতে দু’ঘণ্টার ধরে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। ওই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়, আটকে পড়া ভারতীয় পড়ুয়াদের উদ্ধারে যত দ্রুত সম্ভব ইউক্রেনের পড়শি দেশে পৌঁছে যাবেন ইউরোপের ভারতীয় দূতাবাস কর্মীদের একাংশ। ভারত থেকেও চার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী— হরদীপ সিংহ পুরী, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, কিরেণ রিজিজু এবং ভিকে সিংহ সোমবারই পৌঁছে যাচ্ছেন ইউক্রেনের পড়শি দেশ হাঙ্গেরি, রোমানিয়া, মলডোভা, স্লোভেনিয়া এবং পোল্যান্ডে।