প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
জাপানকে হটিয়ে বিশ্বের তৃতীয় শক্তিধর রাষ্ট্র হল ভারত। ২৭টি দেশ নিয়ে এমনই একটি তালিকা প্রকাশ করেছে এশীয় শক্তি সূচক। তালিকায় ভারতের এই উত্থানের কথা জানিয়ে কেন্দ্রের তরফে দেশের গতিশীল বৃদ্ধি, যুব জনসংখ্যা এবং অর্থনীতিকে সাফল্যের কারিগর হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। ‘লওয়ি ইনস্টিটিউট এশিয়া পাওয়ার ইনডেক্স’ এই তালিকা তৈরি করেছে।
সামরিক ক্ষমতা, রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সাংস্কৃতিক প্রভাব— এই রকম আটটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে তালিকাটি তৈরি হয়েছে। ভারত সেই সব সূচকে অন্যান্য দেশকে পিছনে ফেলে অনেকটাই এগিয়ে। করোনা পরবর্তী সময়ে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি অনেকাংশে বেড়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। ভারতের জনসংখ্যা এবং তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের জিডিপি বৃদ্ধি খুবই উল্লেখযোগ্য। ভারতের ভবিষ্যৎ ক্ষমতাও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। সূচকে এই বৃদ্ধি ৮.২ পয়েন্ট। ভারতের যুব সম্প্রদায়ের সংখ্যা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকটাই বেশি। ফলে ভবিষ্যতে এই যুব সম্প্রদায়ই দেশের শক্তিশালী সম্পদ হয়ে উঠবে বলে আশাবাদী কেন্দ্র।
কেন্দ্রের দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত আন্তর্জাতিক স্তরে প্রভূত উন্নতি করেছে। বহু ক্ষেত্রে ভারতের নিরপেক্ষ অবস্থান দেশকে শক্তিশালী করে তুলেছে। ভারতের উপর কারও প্রভাব নেই। পাশাপাশি, দেশের সাংস্কৃতিক প্রভাবও সূচকে ভারতের অবস্থান নির্ণয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছে।
ভারতের সামরিক শক্তি ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন দেশ মূলত রাশিয়ার থেকে ভারত নানা সময়ে নানা রকম অস্ত্র কিনে তাদের ভান্ডার মজবুত করেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর শক্তি এখন বিশ্বের মধ্যে অন্যতম। সেই সব শক্তির বিচারে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারত অনেকটাই এগিয়ে।
ওই তালিকা অনুযায়ী, সর্বাধিক ক্ষমতাশালী রাষ্ট্র আমেরিকা। দ্বিতীয় স্থানে চিন এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে জাপান। তৃতীয় স্থানাধিকারী ভারতের দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তান ও বাংলাদেশের স্থান যথাক্রমে ১৬ ও ২০।