অরবিন্দ কেজরীওয়াল। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
অরবিন্দ কেজরীওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে আমেরিকা মন্তব্য করার পরেই সে দেশের এক শীর্ষ কূটনীতিককে তলব করল নয়াদিল্লি। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর প্রতিবেদন অনুসারে, বুধবারই ওই কূটনীতিককে নয়াদিল্লিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সাউথ ব্লকের দফতরে তলব করা হয়। প্রায় ৪০ মিনিট ধরে বৈঠক চলে। মন্ত্রক সূত্রে খবর, কেন ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য, সেই বিষয়ে তাঁর ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। তবে বৈঠকে কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, তা প্রকাশ্যে আনেনি দু’পক্ষই।
সম্প্রতি আমেরিকার বিদেশ দফতরের তরফে বলা হয়, তারা কেজরীওয়ালের গ্রেফতারির বিষয়ে নজর রাখছে। একই সঙ্গে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষেত্রে ‘স্বচ্ছ, অবাধ আইনি প্রক্রিয়া’র জন্য নয়াদিল্লির কাছে আর্জি জানায় ওয়াশিংটন। তার পরেই বুধবার ভারতে অবস্থিত আমেরিকার দূতাবাসের কার্যকরী সহকারী প্রধান গ্লোরিয়া বারবেনাকে তলব করা হয়।
পরে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে ভারতের আইনি প্রক্রিয়া নিয়ে আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্রের করা মন্তব্যের নিন্দা করা হয়। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “কূটনীতিতে আশা করা হয় যে, দেশগুলি অন্য দেশের সার্বভৌমত্ব এবং অভ্যন্তরীণ অখণ্ডতার বিষয়ে শ্রদ্ধাশীল হবে। অন্যথায় খারাপ দ়ৃষ্টান্ত তৈরি হবে।”
এর আগে কেজরীওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে মন্তব্য করার জন্য ভারতের জার্মান দূতাবাসের উচ্চপদস্থ কূটনীতিক জর্জ এনজ়ওয়েলারকে তলব করেছিল বিদেশ মন্ত্রক। জার্মানির তরফেও কেজরীর গ্রেফতারি নিয়ে মন্তব্য করে বলা হয়েছিল, তারা আশা করে ‘বিচার বিভাগের স্বাধীনতা’ এবং ‘মৌলিক গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ’ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বিচার প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রেও প্রযুক্ত হবে। তবে তাঁর এই মন্তব্য ভাল ভাবে নেয়নি নয়াদিল্লি। ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জার্মান রাষ্ট্রদূতের কেজরীওয়াল সংক্রান্ত মন্তব্যকে ‘দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ’ হিসাবে দেখে।