উদ্ধব ঠাকরে। —ফাইল চিত্র
মহারাষ্ট্রের ১৭টি লোকসভা আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিল শিবসেনা (উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে) বা ইউবিটি। অবশ্য গত মাসেই ১১টি লোকসভা কেন্দ্রে গিয়ে, সেগুলিতে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছিলেন বালাসাহেব ঠাকরের পুত্র তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। বুধবার বাকি ছ’টি আসনে ইউবিটি প্রার্থীদের নামে প্রকাশ্যে এল।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে দলের পাঁচ বিদায়ী সাংসদকে ফের প্রার্থী করছেন উদ্ধবেরা। অরবিন্দ সবন্ত লড়াই করছেন মুম্বই দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে। সঞ্জয় পাটিল এবং আমোল কীর্তিকর লড়াই করছেন যথাক্রমে মুম্বই উত্তর-পূর্ব এবং মুম্বই উত্তর-পশ্চিম আসন থেকে। অনিল দেশাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মুম্বই দক্ষিণ-মধ্য আসন থেকে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সাংলি আসনেও প্রার্থী দিয়েছে উদ্ধবের দল। মহারাষ্ট্রের বিরোধী জোট ‘মহাবিকাশ অঘাড়ী’র অন্যতম শরিক কংগ্রেস এই আসনটির প্রত্যাশী ছিল। এই আসনকে কেন্দ্র করে জোটের জট আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে মনে করছেন কেউ কেউ। সাংলিতে ইউবিটি প্রার্থী করেছে কুস্তিগীর চন্দ্রহার পাটিলকে।
ইউবিটি প্রার্থী হিসাবে রঞ্জন বিচারে ঠাণে থেকে লড়বেন। অওরঙ্গাবাদ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন প্রাক্তম সাংসদ চন্দ্রকান্ত খাইরে। এ বার ভোটে আসন সমঝোতা নিয়ে ‘মহাবিকাশ অঘাড়ী’র দুই শরিক উদ্ধব এবং শরদ পওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপি গোষ্ঠীর সঙ্গে কংগ্রেসের এখনও ঐকমত্য হয়নি। এরই মধ্যে মঙ্গলবার শিবসেনা (ইউবিটি)-র বিরুদ্ধে ‘একতরফা এবং অবাঞ্ছিত’ আচরণের অভিযোগ তুলেছেন ‘বঞ্চিত বহুজন অঘাড়ী’ (ভিবিএ)-র প্রধান তথা প্রাক্তন সাংসদ প্রকাশ অম্বেডকর। তিনি বলেন, ‘‘বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা মনে করছি শিবসেনা (ইউবিটি)-র সঙ্গে সমঝোতা সম্ভব নয়।’’
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ-র শরিক হিসাবে বিজেপির সঙ্গে আসন সমঝোতা হয়েছিল সাবেক অবিভক্ত শিবসেনার। মহারাষ্ট্রের ৪৮টি আসনের মধ্যে সে বার ২৩টিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১৮টি আসনে জয়লাভ করে উদ্ধবের দল। পরে যদিও শিবির বদলে ইউপিএ শিবিরে যোগ দেন উদ্ধব। তারও পরে সাবেক শিবসেনা ভেঙে বিজেপির হাত ধরেন একনাথ শিন্ডে। পরিষদীয় দলের শক্তির নিরিখে একনাথের নেতৃত্বাধীন শিবসেনাকেই প্রকৃত শিবসেনার মর্যাদা দেয় নির্বাচন কমিশন।