ফাইল চিত্র।
জনসংখ্যার নিরিখে শীর্ষ স্থান দখল করলে আখেরে লাভ হতে পারে ভারতেরই! অন্তত এমনটাই মনে করছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের অর্থনীতি এবং সমাজনীতি সংক্রান্ত জনসংখ্যা বিভাগের ডিরেক্টর জন উইলমথ। তিনি জানিয়েছেন, আগামী বছর জনসংখ্যায় চিনকে ছাপিয়ে গেলে, নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদের জন্য ভারতের দাবি আরও জোরালো হবে।
রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্টই বলছে, জনসংখ্যার নিরিখে আগামী বছর চিনকে অতিক্রম করবে ভারত। দেশের জনসংখ্যা ১৪১.২ কোটি ও চিনের ১৪২.৬ কোটি। এই ব্যবধান মুছে ভারত এগিয়ে যাবে বছর খানেকের মধ্যে। ওই রিপোর্ট নিয়ে জানতে চাওয়া হলে জন উইলমথ আজ বলছেন, “বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হওয়ার তাৎপর্য কী? আমার মনে হয়, সে ক্ষেত্রে সেই দেশ কিছু দাবি জানাতেই পারে। রাষ্ট্রপুঞ্জের পাঁচ স্থায়ী সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের ভূমিকা কী হবে এই বিষয়টি নিয়ে সেটাই দেখার।” তাঁর কথায়, “ভারত যদি সবচেয়ে জনবহুল দেশ হয়, তা হলে তারা ভাবতেই পারে, দীর্ঘ দিন ধরে গোষ্ঠীতে (নিরাপত্তা পরিষদের) অন্তর্ভূক্তি নিয়ে দাবি যথেষ্ট ন্যায্য। সত্যি কথা বলতে, এর ফলে তাদের দাবি জোরদার হবে।” পাশাপাশি, উইলমথ এ কথাও বলছেন যে, গত শতকের ৭০ এবং ৮০-র দশকে চিন যে ভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য পদক্ষেপ করেছিল, তাতে খুবই কাজ হয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২ সালে বিশ্বের সবচেয়ে দুই জনবহুল অঞ্চল হল পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া। এই দুই অঞ্চলের মধ্যেই পড়ছে ভারত এবং চিন। পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় জনসংখ্যা ২৩০ কোটি (বিশ্বের ২৯ শতাংশ)। অন্য দিকে, মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ায় ২১০ কোটি (বিশ্বের ২৬ শতাংশ)। ২০৩৭ সালের মধ্যে মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল অঞ্চলের তকমা পেতে চলেছে বলে ওই রিপোর্টের পূর্বাভাস। কারণ, ২০৩০ সাল নাগাদ পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় জনসংখ্যা ক্রমশ কমতে শুরু করবে।