ছবি রয়টার্স।
এক সপ্তাহের মধ্যেই রবি ফসল কাটার মরসুম শুরু হয়ে যাবে। কিন্তু লকডাউনের জেরে খেতের গম খেতেই নষ্ট হয়ে যাবে কি না, সেই ভাবনায় চাষিদের মাথায় হাত। ফসল তোলার পরে কী করে বিক্রি হবে, তা নিয়েও দুশ্চিন্তা। এরই মধ্যে হরিয়ানার বিজেপি সরকার গম চাষিদের বলেছে, ফসলের শতকরা ৫ ভাগ চাষিরা যেন বিনামূল্যে সরকারকে দিয়ে দেয়। কৃষক সংগঠনের যুক্তি, একে তো সরকার ফসলই কিনছে না, তার ওপরে ফ্রি-তে গম চাইছে।
কেন্দ্র চাষ-আবাদ ও অন্যান্য কাজকে লকডাউন থেকে ছাড় দিলেও খেতমজুরের অভাব রয়েছে। কারণ পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে যারা ফসল কাটার কাজে গ্রামে ফিরতে চাইছিলেন, ফিরতে পারেননি। যে সব খেতমজুর গ্রামে রয়েছেন, তাদের কোথা থেকে মজুরি দেবেন, তা নিয়ে চাষিরা চিন্তায়।
আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে কংগ্রেস ও অন্য বেশ কিছু দল দাবি তুলল, একশো দিনের কাজের প্রকল্পে খেতমজুরদের লাগানো হোক। কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদের যুক্তি, লকডাউনে একশো দিন কাজের প্রকল্প ছাড়া অন্য সব কাজ বন্ধ। তাই ওই মজুরি দিয়ে চাষে লাগানো হোক। এতে গরিবের রোজগার হবে, চাষিরও খরচ বাঁচবে। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর নির্দেশ দেন, রবি ফসল কাটতে সরকার যে সব ছাড় দিয়েছে, তা যেন পালন হয়। তবে চাষিরা যেন দূরত্ব বজায় রাখে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব এগ্রিকালচারাল রিসার্চ সংক্রমণের কথা ভেবে চাষিদের অন্তত ২০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িতে থাকতে বলেছেন। কিন্তু কৃষক সংগঠনগুলির মতে, বেশি দিন অপেক্ষা করলে ফসল নষ্ট হতে পারে।