শতরানের পর নীতীশ রেড্ডি। ছবি: পিটিআই।
স্কট বোলান্ডকে মাথার উপর দিয়ে চার মেরে শতরান করতেই গ্যালারিতে আর ধরে রাখা যাচ্ছিল না তাঁকে। প্রথমে দু’হাত তুলে চিৎকার করছিলেন। তার পর কেঁদে ফেলেন। সেই কান্না বজায় থাকল হোটেলে ছেলের সঙ্গে দেখা করতে এসেও। নীতীশ রেড্ডির প্রথম শতরানের পর এ ভাবেই আবেগ দেখা গেল তাঁর বাবা মুতিয়ালা রেড্ডির। বাবাকেই শতরান উৎসর্গ করেছেন নীতীশ।
শনিবার দিনের খেলা শেষের পর নীতীশ সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেন। সেখানে গ্যালারিতে বসে তাঁর বাবার কান্নার ছবি রয়েছে। নীতীশ লেখেন, “এই শতরান তোমার জন্য বাবা।” নীতীশের ক্রিকেট খেলার নেপথ্যে বাবার অবদান কম নয়। ২০১৬ সালে চাকরি ছেলে নীতীশের স্বপ্নকে সত্যি করার চেষ্টায় লেগে পড়েছিলেন মুতিয়ালা। বহু রাতে ঘুম হয়নি, খাওয়া হয়নি। অনেক আত্মত্যাগের ফসল শনিবার নীতীশের শতরান।
বোর্ডের পোস্ট করা একটি ভিডিয়োয় নীতীশ বলেছেন, “আমার বাবা নিজের চাকরি ছেড়ে দিয়েছিল আমার জন্য। আমার উঠে আসার নেপথ্যে বাবার অনেক অবদান রয়েছে। এক দিন বাবাকে কাঁদতে দেখেছিলাম। তখন আমাদের পরিবারে অনেক আর্থিক সমস্যা চলছিল। আমি নিজেই নিজেকে বলেছিলাম, ‘এ ভাবে চলতে পারে না। আমাকে আরও মনোযোগ দিতে হবে’। তাই নিজের প্রথম জার্সিটা ওঁকেই দিয়েছি। তখন ওঁর মুখে হাসিটা কোনও দিন ভুলব না।”
দিনের খেলা শেষের পর নীতীশের পরিবার আসে হোটেলে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে। সেখানে বাবা, মা ছাড়াও ছিলেন নীতীশের বোন। প্রত্যেকেরই আবেগ দেখে বোঝা গিয়েছে এই শতরানের মাহাত্ম্য তাঁদের কাছে কতটা। বোর্ডের পোস্ট করা ভিডিয়োয় মুতিয়ালা বলেছেন, “নীতীশ আজ খুব ভাল খেলেছে। আমি গর্বিত। অনেক কষ্ট করেছি আমরা। ভারতীয় দলের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। ওর উঠে আসা সহজ ছিল না।”
নীতীশ প্রশংসা করেছেন মহম্মদ সিরাজেরও। জসপ্রীত বুমরাহ ফিরে যাওয়ার পরে প্যাট কামিন্সের ওভারের তিনটি বল খেলে দেন সিরাজ। তার জন্যই শতরান করতে পারেন নীতীশ। সিরাজের জড়িয়ে ধরার ছবি পোস্ট করে নীতীশ লেখেন, “আমিও সিরাজ ভাইকে বিশ্বাস করি।” আসলে বুমরাহের একটি পুরনো পোস্ট উল্লেখ করেই এই পোস্টটি করেছেন নীতীশ।