বিভিন্ন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে রমেশ পোখরিয়াল।—ছবি পিটিআই।
সিবিএসই স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের বাকি থাকা বোর্ড-পরীক্ষা লকডাউন ওঠার পরে পরিস্থিতি বিচার করে নেওয়া হবে বলে ফের স্পষ্ট করল কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক।
মন্ত্রক একই সঙ্গে জানিয়েছে, উত্তর-পূর্ব দিল্লি বাদে দেশের অন্যত্র দশম শ্রেণির প্রায় সমস্ত পরীক্ষা নেওয়া হয়ে গিয়েছিল ঘরবন্দি দশা শুরুর আগেই। তাই দশম শ্রেণির বাকি পরীক্ষা শুধুমাত্র উত্তর-পূর্ব দিল্লিতেই নেওয়া হবে। তার প্রস্তুতির জন্য অন্তত ১০ দিন সময়ও পাবেন পড়ুয়ারা। দেশের বাকি অংশে যেটুকু যা বাকি আছে, স্কুলে নেওয়া (ইন্টারনাল) পরীক্ষার মাধ্যমে তা সেরে ফেলা হবে। আগেই জানানো হয়েছিল, দশম এবং দ্বাদশে পরীক্ষা হবে শুধু মূল ২৯টি বিষয়ের। বোর্ডের সেই অবস্থানেও পরিবর্তন হয়নি।
করোনা-আবহে জল্পনা ছড়িয়েছিল, সিবিএসই বোর্ড-পরীক্ষার বাকি পেপার হয়তো আর দেওয়ারই সুযোগ পাবেন না পড়ুয়ারা।
এই জল্পনা আরও জোরদার হয় গত কাল দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়ার টুইটে। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিয়ো-কনফারেন্সিংয়ের পরে সিসৌদিয়া জানান, সিবিএসই বোর্ডের দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির বাকি পরীক্ষা যাতে ঘরোয়া ভাবে (ইন্টারনাল) স্কুলগুলিই নিয়ে নিতে পারে, সে জন্য আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
আজ ধোঁয়াশা কাটিয়ে সিবিএসই জানিয়েছে, ১ এপ্রিলের নির্দেশিকাতেই তারা জানিয়েছিল, দশম শ্রেণির পরীক্ষা যেখানে যা বাকি রয়েছে, তা ‘ইন্টারনাল’ পরীক্ষার ভিত্তিতেই সেরে ফেলা হবে। ব্যতিক্রম মূলত উত্তর-পূর্ব দিল্লি। কারণ, সেখানে গোষ্ঠী সংঘর্ষের কারণে তখন মূল পরীক্ষা নেওয়া যায়নি।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)