হিং। আমাদের দেশের প্রায় প্রতিটি রান্নাঘরের অত্যন্ত জরুরি মশলা। ভারতের উত্তর থেকে দক্ষিণে, প্রায় সব রাজ্যের খাবারের স্বাদ বাড়াতে এই মশলা ব্যবহার করা হয়।
সারা বিশ্বে যত পরিমাণ হিং ব্যবহার করা হয় তার ৪০ শতাংশ হয় ভারতেই।
খাবারের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি বিভিন্ন রোগ সারাতেও বিশ্ব জুড়ে এর ব্যবহার রয়েছে।
কিন্তু জানেন কি তা সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত ভারতে হিঙের কোনও চাষ হয় না! পুরোটাই বাইরে থেকে আমদানি করতে হয়!
বিপুল টাকা খরচ করে আফগানিস্তান, ইরান, উজবেকিস্তান থেকে নিয়ে আসা হয় এই রান্নার মশলা।
যার জন্য বছরে ভারতকে খরচ করতে হয় প্রায় ৬০০ কোটি টাকা।
ইউরোপেও একসময় বহুল ব্যবহার করা হত এই হিং। এখন ইউরোপে এর ব্যবহার প্রায় হয় না বললেই চলে।
ভারতের বিভিন্ন রান্নায় হিঙের ব্যবহার খুবই জরুরি। রান্নার স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি এর ঔষধি গুণও রয়েছে।
নিরামিশাষিরা খাবারে হিঙের ব্যবহার করে থাকেন। সে ক্ষেত্রে পেঁয়াজ এবং রসুনের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা হয় হিং।
খাদ্য পরিপাকে এবং শ্বাসযন্ত্রের রোগ সারাতে অতীতে হিং ব্যবহার করতেন চিকিৎসকেরা।
ভারতে এর বিপুল ব্যবহার মাথায় রেখে সম্প্রতি এ দেশেও হিং চাষ করতে উদ্যোগী হয়েছেন গবেষকরা।
এই প্রথম সেন্টার ফর সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (সিএসআইআর) -এর গবেষকরা হিমাচল প্রদেশের গ্রামে হিং চাষ শুরু করেছেন।
হিমাচল প্রদেশের কাওয়ারিং গ্রামে এর চাষ শুরু করেছেন তাঁরা। স্পিতিতেও তারা ৫০০ একর জমি নিয়েছে হিং চাষের জন্য।
স্থানীয়দেরও হিং চাষের প্রশিক্ষণ দেওয়া চলছে। হিং শুষ্ক এবং ঠান্ডা আবহাওয়ায় হয়। চাষের জন্য তাই হিমাচল প্রদেশের এই এলাকাগুলি বেছে নেওয়া হয়েছে।
হিঙে উগ্র গন্ধ রয়েছে। তাই রান্নায় ব্যবহারের আগে সুস্বাদু করার জন্য এর সঙ্গে বেশ কিছু অন্য উপাদান মেশানো হয়।