বিটকয়েন, ডোজ়কয়েনের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সি নিষিদ্ধ করার পথে হাঁটতে চলেছে ভারত।
বিটকয়েন, ডোজ়কয়েনের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সি নিষিদ্ধ করার পথে হাঁটতে চলেছে ভারত। এই সংক্রান্ত আইন পাশ হতে পারে সংসদে। শুধুমাত্র নিষিদ্ধ করা নয়, এই ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি বা বিনিময়যোগ্য ভার্চুয়াল মুদ্রা নিয়ে কারবার করাকেও অপরাধের আওতায় নিয়ে আসার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, গত কয়েক মাস ধরেই ক্রিপ্টোকারেন্সি নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্র। যদি ক্রিপ্টোকারেন্সি নিষিদ্ধ করা হয়, তা হলে ভারতই হবে প্রথম দেশ যারা এই পদক্ষেপ নেবে। এর আগে চিন ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে কারবার নিষিদ্ধ করলেও তাকে অপরাধের আওতায় ফেলেনি।
ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে ভারতে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ৭০ লক্ষের বেশি মানুষ ৭ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করেছেন। তাই আইন পাশ করার আগে বিনিয়োগকারীদের অন্তত ৬ মাস সময় দেওয়া হবে, যাতে ওই সময়ের মধ্যে তাঁরা ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগকে ভারতীয় মুদ্রায় পরিবর্তন করে নিতে পারেন। নইলে তার পর থেকে বিনিয়োগকারীদের উপর জরিমানা করা হবে।
আমেরিকায় ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে লেনদেন করলে কর নেওয়া হয়। কিন্তু অনেক দেশেই এর উপর কর বসানো হয়নি। ক্রিপ্টোকারেন্সি বাস্তবে দেখা যায় না। কেবলমাত্র অনলাইনেই এর অস্তিত্ব রয়েছে। সাধারণ ক্ষেত্রে মুদ্রা যেমন কোনও কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক নিয়ন্ত্রণ করে, ক্রিপ্টোকারেন্সি সে ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। ইন্টারনেট ব্যবহার করে যে কেউ ক্রিপ্টোকারেন্সি তৈরি করতে পারে। তা লেনদেনও করতে পারে। নিয়ন্ত্রণ করা যায় না বলেই এটিকে বিপজ্জনক মনে করছে কেন্দ্র। তাই আইন নিয়ে আসার চিন্তাভাবনা চলছে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি কেন্দ্র নিজেই একটি ডিজিটাল কারেন্সি চালু করতে পারে বলে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক। রিজার্ভ ব্যাঙ্কও ভারতীয় মুদ্রার ডিজিটাল সংস্করণ চালু করার কথা ভাবছে। এর নাম দেওয়া হতে পারে সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক ডিজিটাল কারেন্সি। তবে তার আগে আইনে বদল করা প্রয়োজন। এখন দেখার, কবে এই আইন বদলের পথে পদক্ষেপ করে কেন্দ্র।