পরিমিত খাওয়া জরুরি। ছবি: সংগৃহীত।
প্রশ্ন রোগা হওয়ার হোক কিংবা ফিট থাকার, দু’ক্ষেত্রেই পরিমিত খাবার খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। বাইরের খাবার খেয়েও ছিপছিপে থাকা যায়, যদি পরিমাণে কম খান। সেই জন্যেই পুষ্টিবিদরা ‘পোর্সন কন্ট্রোল’-এর উপর জোর দেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু চাইলেই অনেকে অল্পেতেই খাবার থেকে হাত সরিয়ে নিতে পারেন না। খাবারের আকর্ষণ এমন যে, যে সেই টান উপেক্ষা করার মতো ক্ষমতা সকলের থাকে না। কিন্তু রোগা হতে চাইলে খাবারের পরিমাণে রাশ টানতেই হবে। মনকে বুঝিয়ে কোনও লাভ না হলে, খুঁজে নিতে হবে কৌশল। কেমন সেই কৌশল?
উৎস সন্ধান
বেশি খাবার খেয়ে নেওয়ার প্রবণতার উৎস খুঁজে বার করতে হবে। অনেক সময় গল্পগুজব করতে করতে বেশি খাওয়া হয়ে যায়। আবার পার্টিতে দেদার খাবার দেখে নিজেকে সামলানো যায় না। সেক্ষেত্রে চেষ্টা করুন এই ধরনের পরিস্থিতি এড়িয়ে চলতে।
সময় মেপে খান
একবারে বেশি খেতে পারেন না অনেকেই। কিন্তু সারা দিন ধরে একটু একটু করে খেলে, পরিমাণ সেই একই জায়গায় এসে দাঁড়ায়। সেক্ষেত্রে যদি খাওয়ার সময়ের তালিকা বানিয়ে নেন, তা হলে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
জল খান বেশি
শরীরে জলের পরিমাণ কমে গেলে বারে বারে খাবার খেতে ইচ্ছা করে। সেক্ষেত্রে খাবার বেশি খাওয়ার চেয়ে বেশি জল খেয়ে নেওয়া বেশি লাভজনক। জল বেশি খেলে যে শুধু ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে, তা তো নয়। জল খাওয়ার সুফল নিয়ে আলাদা করে আলোচনার প্রয়োজন পড়ে না।
খাবার থেকে দূরে থাকুন
খাদ্যরসিক না হলেও, মুখরোচক খাবার দেখে নিজেকে সামলানো কঠিন। আর পছন্দের খাবার হলে তো কথাই নেই। দেখা মাত্রই ঝাঁপিয়ে পড়তে ইচ্ছা করে। অতএব নিজেকে মেদহীন এবং ফিট রাখতে চাইলে ভালমন্দ খাবারের কাছাকাছি যত কম আসা যায়, ততই ভাল।