Rahul Gandhi

রাহুলের প্রশ্নে ক্ষুব্ধ বিজেপি

কংগ্রেস শিবিবের মতে, যেখানে উত্তেজনা পূর্ণ মাত্রায় রয়েছে সেখানে কেন নজরদারি করতে সেনাদের খালি হাতে পাঠানো হবে?  

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০২০ ০৪:৩৯
Share:

ছবি এপি।

লাদাখ সংঘর্ষ নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই গাঁধী পরিবারের উদ্দেশে ব্যক্তিগত আক্রমণে নামল বিজেপি।

Advertisement

লাদাখে ভারত-চিন সেনার মধ্যে হওয়া প্রাণঘাতী সংঘর্ষ নিয়ে দু’পক্ষেরই দাবি গন্ডগোলের সময়ে গুলি চলেনি, কেবল হাতাহাতি হয়েছে। আজ সেই সূত্র ধরেই রাহুল টুইট করে বলেন, ‘‘চিন ভারতীয় সেনাদের হত্যা করে নিশ্চয়ই অপরাধ করেছে। কিন্তু খালি হাতে সেনাদের কে সেখানে পাঠিয়েছিল? এর জন্য দায়ী কে?’’ কংগ্রেস শিবিবের মতে, যেখানে উত্তেজনা পূর্ণ মাত্রায় রয়েছে সেখানে কেন নজরদারি করতে সেনাদের খালি হাতে পাঠানো হবে?

রাহুল বিষয়টি উস্কে দিতে পাল্টা আক্রমণ শানাতে আসেন বিজেপির তথ্য-প্রযুক্তি শাখার প্রধান অমিত মালব্য। তিনি গাঁধী পরিবারের সঙ্গে চিনের সুসম্পর্কের নজির তুলে সরব হন। মালব্যের অভিযোগ, ‘‘২০০৮ সালে সনিয়া, রাহুল প্রিয়ঙ্কা, রবার্ট ও তাঁদের দুই সন্তান অলিম্পিক দেখতে চিনের সরকারি অতিথি হিসেবে গিয়েছিলেন। সনিয়া গাঁধীর উপস্থিতিতে রাহুল সে দেশের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে একটি মউ সাক্ষর করেন। ড্রাগনের সঙ্গে ঘুমোনোর পর এখন (রাহুল) চোখের জল ফেলছেন।’’

Advertisement

মালব্য দাবি করেন, সে সময়ে চিনে উপস্থিত পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ছেলে বিলওয়াল ভুট্টো জারদারির সঙ্গেও বৈঠক করেছিলেন সনিয়া। আজ টুইটে দু’জনের সেই বৈঠকের একটি ছবিও প্রকাশ করে মালব্য লেখেন, ‘চিনের আতিথেয়তার কারণেই কি ওই বৈঠক হয়েছিল? ভারতীয় সেনাকে খাটো করার আগে রাহুলের উচিত তার ব্যাখ্যা দেওয়া।’

কংগ্রেস সরাসরি অভিযোগের জবাব দেয়নি। দলের এক নেতা বলেন, ‘‘রাহুলের প্রশ্নে বিজেপি যে অস্বস্তিতে পড়েছে তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। কারণ গোড়়া থেকেই ভারতীয় সেনা সীমান্তে গুলি চালানোর কথা অস্বীকার করে এসেছে। ফলে রাহুল যে প্রশ্ন তুলেছেন তার যৌক্তিকতা বিজেপিও বুঝতে পারছে।’’ বিরোধীদের পাশাপাশি আগামী দিনে মৃতের পরিবার যদি ওই প্রশ্ন তুলতে শুরু করে তা হলে চূড়ান্ত অস্বস্তিতে পড়তে হতে পারে শীর্ষ নেতৃত্ব তথা সরকারকে। বিশেষ করে এই মুহূর্তে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে রীতিমতো ব্যাকফুটে রয়েছে ভারতীয় সেনা। তাই শুরুতে অমিত মালব্য, সম্বিত পাত্রের মতো নেতারা রাহুলকে আক্রমণ শানালেও পরে এ নিয়ে ঠিক হয় ধোঁয়াশা কাটাতে মুখ খুলবেন শীর্ষ স্তরের কোনও মন্ত্রী। সেই মতো বিকেলে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর টুইট করে বলেন, ‘সত্যিটা স্পষ্ট করে দেওয়া যাক। সীমান্ত পাহারায় যারা থাকে তারা যখন পোস্ট ছেড়ে (টহলে) বেরোয়, তখন সকলেই হাতিয়ার সঙ্গে রাখে। গালওয়ানেও তাই হয়েছিল। ১৯৯৬ ও ২০০৫ সালে ভারত-চিন সমঝোতা অনুযায়ী সংঘাতের সময়ে বন্দুক ব্যবহার না-করার নীতি রয়েছে।’ সরকারের দাবি এখানে সেই নিয়ম মানা হয়েছিল বলেই আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার হয়নি। কিন্তু যখন দেখা যাচ্ছে মরণপণ যুদ্ধ হচ্ছে, সহকর্মীরা মৃত্যুর মুখে, তখনও সঙ্গের কেন অস্ত্র

ব্যবহার করা হয়নি, সেই প্রশ্ন অনেক প্রাক্তন সেনার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement