রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্ত উত্তেজনার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ইউক্রেনের ভারতীয় দূতাবাস সে দেশে বাসবাসকারী ভারতীয়দের উদ্দেশে দেশে ফেরার নির্দেশিকার জারি করেছিল। বিশেষ ভাবে বলা হয়েছিল ভারতীয় পড়ুয়াদের কথা। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, ওই নির্দেশিকার পরেই দেশে ফেরার হিড়িক পড়ে ইউক্রেনবাসী ভারতীয়দের।
ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সেনা মহড়ার জেরে তৈরি হয়েছে উত্তেজনা। ছবি: সংগৃহীত।
ইউক্রেনে বসবাসকারী ভারতীয়দের অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার আবেদন জানাল নরেন্দ্র মোদী সরকার। বুধবার ইউক্রেনের ভারতীয় দূতাবাস জানিয়েছে, সম্ভাব্য যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সে দেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের দেশে ফেরাতে আরও বিমান পাঠানো হচ্ছে।
টুইট-বার্তায় লেখা হয়েছে, ‘বিমানের টিকিটের অপ্রতুলতার বিষয়ে ভারত সরকার অবহিত। তবে তা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। শীঘ্রই আরও ফ্লাইটের বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।’ বর্তমানে, ইউক্রেনিয়ান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স, এয়ার আরবিয়া, ফ্লাই দুবাই, কাতার এয়ারওয়েজ ইত্যাদি উড়ান পরিষেবা সংস্থা ইউক্রেনের ফ্লাইট পরিচালনা করছে। ভারতীয় দূতাবাস বলেছে, শীঘ্রই এয়ার ইন্ডিয়া-সহ আরও কয়েকটি বিমান সংস্থা সেই তালিকায় শামিল হবে।
রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্ত উত্তেজনার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ইউক্রেনের ভারতীয় দূতাবাস সে দেশে বাসবাসকারী ভারতীয়দের উদ্দেশে দেশে ফেরার নির্দেশিকার জারি করেছিল। বিশেষ ভাবে বলা হয়েছিল ভারতীয় পড়ুয়াদের কথা। যাঁদের একান্তই সে দেশে থেকে যেতে হবে, তাঁদেরও অপ্রয়োজনীয় যাত্রা এড়িয়ে যাওয়ার উপদেশ দিয়েছিল কিয়েভের ভারতীয় দূতাবাস।
বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, ওই নির্দেশিকার পরেই দেশে ফেরার হিড়িক পড়ে ইউক্রেনবাসী ভারতীয়দের। কিন্তু পর্যাপ্ত ফ্লাইট না থাকায় সকলে ফিরতে পারেননি। ঘটনাচক্রে, বুধবার মস্কোর তরফে জানানো হয়েছে, ইউক্রেন সীমান্তে সামরিক মহড়া শেষ হয়ে গেলেই রাশিয়ার সেনারা নিজেদের ঘাঁটিতে ফিরে যাবে। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনবাসী ভারতীয়দের মধ্যে আতঙ্ক কমতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।