—ফাইল চিত্র।
লাদাখের গোগরা, ডেপসাং এলাকা থেকে সেনা সরানোর প্রশ্নে ঐকমত্যে পৌঁছতে পারল না ভারত-চিন। ফলে ওই এলাকাগুলিতে ভারত-চিন টানাপড়েন এখনও শেষ হল না। তবে ১৫তম বৈঠকের পরে আজ যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে ভারত-চিন জানিয়েছে, লাদাখ সমস্যা মেটাতে দুই দেশই আন্তরিক। লাদাখ সমস্যার দ্রুত সমাধান দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে সক্ষম হবে।
প্রায় ২২ মাস ধরে লাদাখের ভারত-চিন সীমান্তে অচলাবস্থা জারি রয়েছে। ধারাবাহিক ভাবে দু’দেশের মধ্যে সেনা ও কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা চালিয়ে গত জুলাই মাসে প্রথম বড় মাপের সাফল্য আসে। গালওয়ান অঞ্চলের বেশ কিছু এলাকা থেকে সেনা সরাতে রাজি হয় চিন। পিছিয়ে যায় ভারতীয় সেনাও। তার পরেও অবশ্য লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা বজায় রয়েছে। দু’পক্ষ এখনও লাদাখ সীমান্তে ৫০-৬০ হাজার সেনা মোতায়েন রেখেছে। লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে পরবর্তী ধাপে ডেপসাং ও ডেমচক এলাকা থেকে চিনা সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানায় ভারত। গত কালও ওই এলাকাগুলি থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে চুসুল-মলডো সীমান্তে পনেরোতম বৈঠকে বসে দু’পক্ষ। বৈঠকে ডেপসাং এলাকায় চিনা সেনা যেখানে ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে তাদের সেই অবস্থান থেকে পিছিয়ে যাওয়ার দাবি জানিয়েছে ভারত। ওই এলাকায় চিন সেনার উপস্থিতির কারণে ভারতের কাছে রণকৌশলগত ভাবে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দৌলত বেগ ওল্ডি এয়ার স্ট্রিপ কার্যত অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। চিন সেনার উপস্থিতির কারণে সেখানে নজরদারি চালাতে পারছে না ভারত। গত কালের বৈঠকে ওই এলাকাগুলি থেকে সেনা সরানোর দাবি জানায় ভারত। যা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে বেজিং।
বৈঠকের পরে আজ যৌথ বিবৃতিতে দু’দেশ জানিয়েছে, প্রতিরক্ষা ও কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে সীমান্তে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার প্রশ্নে একমত হয়েছে দুই দেশ। লাদাখ সীমান্ত সমস্যা দ্রুত সমাধানের প্রশ্নে রাজনৈতিক নেতৃত্ব যে দিশা দেখিয়েছেন সেই পথে হেঁটেই গত কাল বিস্তারিত আলোচনা হয়। যাতে উভয় দেশ নিজেদের অবস্থান পরস্পরের সামনে তুলে ধরেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উভয় দেশ দ্রুত সমাধানের পক্ষে। কারণ লাদাখ সমস্যার সমাধান কেবল ওই সীমান্তেই শান্তি ও স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনবে না। এতে দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি ঘটবে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, লাদাখের বিভিন্ন এলাকায় সেনা সরানোর মতো বিষয়ের সমাধানে সেনা ও কূটনৈতিক স্তরে নিরন্তর আলোচনার উপরেই ভরসা রেখেছে দুই দেশ।