Train Derail

ভিডিয়ো দেখে ছক, ট্রেন লাইনচ্যুত করে যাত্রীদের লুটের পরিকল্পনা গুজরাতের ঋণগ্রস্ত দুই শ্রমিকের

উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড-সহ বেশ কিছু রাজ্য যখন রেললাইনের উপর কখনও গ্যাস সিলিন্ডার, কখনও সিমেন্টের ব্লক, কখনও আবার লোহার রড ফেলে রাখার ঘটনা ঘিরে শোরগোল চলছে, সেই আবহকে কাজে লাগিয়েই গুজরাতের বোতাড়ে ট্রেন বেলাইন করার পরিকল্পনা করেন ওই দুই শ্রমিক।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২৪ ১১:৪১
Share:

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

মাথায় ঋণের বোঝা। কী ভাবে তা মেটাবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না দুই শ্রমিক। ভাবতে ভাবতেই ট্রেন বেলাইন করার ছক মাথায় আসে। উদ্দেশ্য ছিল, ট্রেন বেলাইন হওয়ার পর যাত্রীদের লুট করা। কিন্তু সেই উদ্দেশ্য সফল হয়নি। ২৫ সেপ্টেম্বরের ঘটনায় অভিযুক্ত দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

গুজরাতের বোতাড় জেলায় ওখা-ভাবনগর এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত করার পরিকল্পনা হয়েছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। জয়েশ নাগরভাই বাওয়ালিয়া এবং রমেশ কাঞ্জি সালিয়া নামে ওই দুই শ্রমিককে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেই ট্রেন বেলাইন করার পরিকল্পনার কথা জানতে পারে পুলিশ। বোতাড়ের পুলিশ সুপার কিশোর বালোলিয়া জানান, ২৫ সেপ্টেম্বর বোতাড় শহর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে কুন্ডলি গ্রামে ট্রেন লাইনচ্যুত করার চেষ্টা করা হয়। লাইনের উপর লোহার টুকরো রেখে দিয়েছিলেন। তবে লোহার টুকরোতে ধাক্কা লাগলেও তেমন ক্ষতি হয়নি ট্রেনের। পরিকল্পনা সফল হয়নি দেখেই এলাকা ছেড়েছিলেন রমেশরা।

রেলওয়ে মেরামতি কারখানা থেকে রেলের বিভিন্ন টুকরো চুরির অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্ত শ্রমিকদের বিরুদ্ধে। কিশোর জানান, ঘটনার পর থেকেই এলাকা ছাড়া ছিলেন তাঁরা। পুলিশ এবং জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) যৌথ তদন্ত শুরু করে। তদন্তে উঠে আসে জয়েশ এবং রমেশের নাম। তার পর তাঁদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। পরে গ্রেফতার করা হয় দু’জনকে। পুলিশ জানতে পারে, ঋণ মেটাতেই রমেশরা ট্রেন যাত্রীদের লুট করার পরিকল্পনা ছকেছিলেন। ইউটিউব দেখে ট্রেন বেলাইন করার বিষয়টি মাথায় আসে তাঁদের।

Advertisement

উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড-সহ বেশ কিছু রাজ্য যখন রেললাইনের উপর কখনও গ্যাস সিলিন্ডার, কখনও সিমেন্টের ব্লক, কখনও আবার লোহার রড ফেলে রাখার ঘটনা ঘিরে শোরগোল চলছে, সেই আবহকে কাজে লাগিয়েই গুজরাতের বোতাড়ে ট্রেন বেলাইন করার পরিকল্পনা করেন ওই দুই শ্রমিক। সম্প্রতি সুরাতে দুই ট্র্যাকম্যান এবং রেলেরই এক চুক্তিভিত্তিক কর্মীর বিরুদ্ধে ভুয়ো অন্তর্ঘাতের অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ, তাঁরা নিজেরাই রেললাইন থেকে ফিশপ্লেট খুলে নিয়েছিলেন। পরে রেলের চালককে সতর্ক করেন। প্রথমে মনে করা হয়েছিল, ওই রেলকর্মীদের তৎপরতায় আটকানো গিয়েছে বড়সড় রেল দুর্ঘটনা। তবে পরে তদন্তে উঠে আসে আসল তথ্য। গ্রেফতার করা হয় তিন অভিযুক্তকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement