সোমবার নিজের রাজ্যে ভোট দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি পিটিআই।
মোটের উপর নির্বিঘ্নেই সম্পন্ন হল গুজরাতের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকেল ৫টা পর্যন্ত সে রাজ্যে ৫৯ শতাংশ ভোট পড়়েছে। তবে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ভোটদানের পূর্ণাঙ্গ পরিসংখ্যান পাওয়া গেলে সামগ্রিক হার আর একটু বাড়তে পারে।
গুজরাতের প্রথম দফার নির্বাচনে ৬০.২ শতাংশ ভোট পড়েছিল। ৫ বছর আগে ২০১৭ সালে মোদী-রাজ্যে ভোটদানের হার ছিল ৬৫ শতাংশ। সেই তুলনায় দ্বিতীয় দফার নির্বাচনেও ভোটদানের হার নিম্নমুখী রইল গুজরাতে।
সচরাচর ভোটের হার নিম্নমুখী হলে ধরে নেওয়া হয়, মানুষ স্থিতাবস্থার পক্ষেই রায় দিয়েছেন। আবার ভোটদানের হার হঠাৎ ঊর্ধ্বমুখী হলে মনে করা হয় রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের জন্যই বিপুল সংখ্যক মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেছেন। অবশ্য বহুবারই এই ধারণার সঙ্গে বাস্তব চিত্রটি মেলেনি। ইতিমধ্যেই বুথ ফেরত সমীক্ষাগুলি জানাচ্ছে, প্রায় ৩ দশক ক্ষমতায় থাকার পরও গুজরাতে আবার বিপুল জনাদেশ দিয়ে ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে বিজেপি।
সোমবার উত্তর ও মধ্য গুজরাতের ১৪টি জেলার ৯৩টি বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচন হয়। মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল-সহ ৬১টি রাজনৈতিক দলের মোট ৮৩৩ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ণয় হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। ৮ ডিসেম্বর গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত হবে।