মদনের জন্মদিনে কেক খাওয়ালেন মধুমিতা। ছবি: ফেসবুক।
বঙ্গ রাজনীতির ‘কালারফুল বয়’ তিনি। যদিও বয়স বলছে তিনি প্রৌঢ়। কিন্তু বয়সকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে জীবনের প্রতিটা মুহূর্তকে উপভোগ করছেন মদন মিত্র। শনিবার ৬৮তে পা দিলেন কামারহাটির বিধায়ক। সে দিন কত যে কেক কেটেছেন, তার হিসাব নিজেই রাখেননি মদন। বিধায়কের জন্মদিন উপলক্ষে কামারহাটির বিভিন্ন জায়গায় ছিল প্রায় সাজ সাজ রব। নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন দলের কর্মী, নেতারা। নিরাশ করেননি ‘ও লাভলি’-র স্রষ্টা। কামারহাটিতে সন্ধ্যায় কেক কাটতে দেখা যায় মদনকে। তাঁর কেক মোমবাতি বসিয়ে খাইয়ে দিলেন অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার।
জন্মদিন উদ্যাপনের ভিডিয়ো তিনি শেয়ার করেছেন নিজের সমাজমাধ্যমে। মধুমিতা ছাড়াও সে দিনের সন্ধ্যায় মদনের পাশে দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রী শ্রীতমা ভট্টাচার্যকে। ছেলের বউ মেঘনাও উপস্থিত ছিলেন শ্বশুরের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে। পুজোর সময় মধুমিতার সঙ্গে একটি মধুর ছবি শেয়ার করেছিলেন তিনি। সেখানে ক্রপে টপে মধুমিতা, ধুতি-পাঞ্জাবিতে মদন জড়িয়ে ধরেছিলেন মধুমিতাকে। সে ছবি দেখে বিস্ময়ে, হাসি-কান্নায় অভিভূত নেটাগরিকরা। বিদ্রুপের তির এসে লাগছে একে একে। কেউ বলছেন, “আরে বাহ! এই বয়সেও ঠাকুরদা পাখি ধরছেন!” কেউ কেউ আবার মধুমিতার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন।
বিনোদন জগতের সঙ্গে বিধায়কের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের কানাঘুষো থাকে সর্বত্রই। এর আগে তিয়াশা রায়, শ্রীতমা ভট্টাচার্য, শ্রাবন্তী চট্টপাধ্যায়ের মতো অনেক তরুণী তারকাকেই মদনের সঙ্গে দেখা গিয়েছে। এ বার সেখানেই নয়া সংযোজন মধুমিতা সরকার। এই মুহূর্তে মদনের সমাজমাধ্যমে হামেশাই দেখা যাচ্ছে টলিপাড়ার এই নায়িকার ছবি।