বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে নরেন্দ্র মোদী এবং জেপি নড্ডা। ছবি— পিটিআই।
২০২৪-এ আগামী লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রধানতম হাতিয়ার যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই হতে চলেছেন, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকেও এই সংক্রান্ত প্রস্তাবই পাশ হয়েছে। এ বার জানা গেল, দেশ জুড়ে মোট ১৬০টি লোকসভা আসনকে চিহ্নিত করেছেন মোদী, শাহ, নড্ডারা। সেই আসনগুলোর জন্য নেওয়া হচ্ছে বিশেষ কৌশল। প্রচারে ঝড় তুলতে খতিয়ে দেখা হচ্ছে সমস্ত দিক।
বৈঠকে বিজেপি সভাপতি জগৎপ্রকাশ নড্ডা বলেন, ‘‘২০২৩ বিজেপির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বছর হতে চলেছে। ৯ রাজ্যে বিধানসভা ভোট আছে। তার পর আগামী বছর ২০২৪-এ লোকসভার লড়াই। পার্টি যেন সব ক’টি ভোটেই অনায়াসে জয়লাভ করে কর্মীদের তা নিশ্চিত করতে হবে।’’ এ জন্য পার্টি কর্মীদের কী কী করতে হবে, তারও দিশানির্দেশ দিয়েছেন সভাপতি নড্ডা। তিনি কর্মীদের বুথ ধরে ধরে সক্রিয় হতে বলেছেন। পাশাপাশি লোকসভার আগে কর্নাটক, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা, মিজোরাম, ছত্তীশগঢ়, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং তেলঙ্গানা— এই ৯ রাজ্যের বিধানসভা ভোটকেও নজরে রেখেছে বিজেপি।
সূত্রের খবর, বিজেপি ১৬০টি লোকসভা আসন চিহ্নিত করেছে। যেখানে বিশেষ প্রচার চলবে। এ জন্য ১ লক্ষেরও বেশি বুথে আরও ব্যাপক জনসংযোগের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। বিজেপির সিনিয়র নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ৪৫ মিনিটের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে সভাপতি নড্ডা বিশেষ করে জোর দিয়েছেন, সংরক্ষিত সম্প্রদায়ের উপর। তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং ওবিসিদের মধ্যে বিজেপির প্রভাব যথেষ্ট। তাঁরা ঢেলে ভোটও দিচ্ছেন বিজেপিকে। এই প্রেক্ষিতে নড্ডা মনে করিয়ে দিয়েছেন, দেশের রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদী মুর্মুর যাওয়াকে। তিনি কর্মীদের কাছে বার্তা দেন, যে সম্প্রদায় থেকে এমন ঢালাও সমর্থন দল পাওয়া যাচ্ছে, তাঁদের একেবারে সামনের সারিতে নিয়ে আসতে হবে। যাতে বিজেপিকেই তারা নিজের কথা বলার দল হিসাবে মনে করেন।
মনে করা হচ্ছে, চিহ্নিত ১৬০টি আসনে সংরক্ষিত জনসংখ্যার প্রভাব যথেষ্ট। তাই এই আসনগুলিতে বিশেষ প্রচার পরিকল্পনা তৈরি করে বিজেপি আসলে তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং ওবিসি সম্প্রদায়ের মানুষেরই আরও কাছে পৌঁছে যেতে চাইছে। এতে এক দিকে যেমন বিজেপির ব্রাহ্মণ্যবাদীর তকমা ঘোচানো সম্ভব হবে, তেমনই সমাজের বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিত্ব দলে আরও পোক্ত হবে।