বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক। ছবি: পিটিআই।
২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে ফের ক্ষমতায় আসতে বিজেপির প্রধান অস্ত্র সেই নরেন্দ্র মোদীই। আর সে কারণেই মোদীকে নিষ্কলঙ্ক নেতা হিসেবে তুলে ধরতে আজ প্রস্তাব পাশ হল বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে।
কখনও পেগাসাস, রাফাল আবার কখনও সেন্ট্রাল ভিস্তা— মোদী জমানার বিভিন্ন প্রকল্প ও নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর সম্পর্ক নিয়ে উঠেছে স্বজনপোষণের অভিযোগ। বিরোধীদের প্রতি ইডি-র মতো তদন্তকারী সংস্থাকে অপব্যবহারের অভিযোগও উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে জাতীয় কর্মসমিতির প্রথম দিনেই প্রধানমন্ত্রীকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে তুলে রাখতে রাজনৈতিক প্রস্তাব নিয়ে এসেছে বিজেপি। দলের নেতা কিরেন রিজিজুর আনা প্রস্তাবের মূল কথা, প্রধানমন্ত্রীর নামে পরিকল্পিত ভাবে ভুয়ো, অভদ্র ও অবমাননাকর অভিযোগ আনছেন বিরোধীরা। পরে এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ও বিজেপি নেত্রী নির্মলা সীতারামন বলেন, ‘‘বিভিন্ন সময়ে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যে কুরুচিকর ও মিথ্যে অভিযোগ এনেছেন বিরোধীরা, সুপ্রিম কোর্ট বারবার তা খারিজ করে দিয়েছে।’’
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী অবশ্য মনে করেন, যে হেতু প্রতিপক্ষের মূল অস্ত্র মোদী, তাই বিজেপিকে হারাতে গেলে প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করাই সঠিক কৌশল। তবে কংগ্রেসের একটি শিবিরের মতে, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মোদীকে অভিযুক্ত করার কৌশল যুক্তিযুক্ত নয়। কারণ, তা প্রমাণ করা কঠিন। ব্যক্তি আক্রমণের পরিবর্তে সরকারের নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে আক্রমণ শানানো বাঞ্ছনীয়। নির্মলার কথায়, ‘‘বিরোধীরা যতই বলুন, সরকারি নীতির ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর যে খারাপ উদ্দেশ্য নেই, আদালতের রায়েই তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।’’
পাশাপাশি লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে তাঁকে উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের মধ্যে সংযোগকারী নেতা হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে বিজেপি।