সার্জিকাল স্ট্রাইক নিয়ে আবার প্রশ্ন তুলল কংগ্রেস। ফাইল চিত্র।
সার্জিকাল স্ট্রাইক এবং পুলওয়ামা জঙ্গি হামলা নিয়ে আরও এক বার প্রশ্ন তুলল কংগ্রেস। রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রায় যোগ দিতে জম্মুতে পৌঁছেছেন কংগ্রেস নেতা তথা মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিংহ। সেখানেই দিগ্বিজয় পুলওয়ামার জঙ্গি হামলা এবং সার্জিকাল স্ট্রাইক নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কংগ্রেস অবশ্য প্রবীণ নেতার এই মন্তব্য থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছে। দলের নেতা জয়রাম রমেশ দিগ্বিজয়ের মন্তব্য সম্পর্কে জানান, এটি তাঁর ব্যক্তিগত মত। দলের সঙ্গে এই মন্তব্যের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। কংগ্রেসের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, সেনাবাহিনীর সব কাজেই সমর্থন রয়েছে দলের।
দিগ্বিজয় বলেন, “পুলওয়ামা সন্ত্রাসবাদের ঘাঁটি। সেখানে নিরাপত্তার কারণেই সব গাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়।” তাঁর প্রশ্ন, ঘটনার দিন উল্টো দিক থেকে বিস্ফোরকবোঝাই স্করপিও গাড়িটি ঢুকে গেলেও কেন কোনও তল্লাশি চালানো হল না? পুলওয়ামা হামলায় বিস্ফোরক বোঝাই ওই গাড়ি ধাক্কা মারে সেনাবাহিনীর কনভয়ে। বিস্ফোরণের কারণে মৃত্যু হয় ৪০ জনের। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের উদ্দেশে তোপ দেগে দিগ্বিজয় বলেন, “সরকার এই ঘটনা (পুলওয়ামা হামলা) নিয়ে এখনও প্রকাশ্যে কিংবা সংসদে কোনও তথ্যপ্রকাশ করেনি।’’
সার্জিকাল স্ট্রাইকের সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস নেতা। ২০১৬ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের উরিতে জঙ্গি হামলায় ১৮ জন সেনা জওয়ানের মৃত্যুর পর সার্জিকাল স্ট্রাইক করে ভারতের সেনা। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক নিয়েও প্রশ্ন তোলেন প্রবীণ এই নেতা। পরে নিজের টুইটার হ্যান্ডলে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন দিগ্বিজয়। ওই ভিডিয়োয় তিনি জঙ্গিদের হাতে ৩০০ কেজি বিস্ফোরক পৌঁছল কী ভাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার নেপথ্যে উঠে আসে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের কথা। পুলওয়ামা হামলার পাল্টা হিসেবে বালাকোটে পাকিস্তান সীমান্তে আকাশপথে হামলা চালিয়ে জঙ্গিঘাঁটিগুলি গুঁড়িয়ে দেওয়ার কথা জানায় সরকার। পুলওয়ামা হামলা এবং সার্জিকাল স্ট্রাইক নিয়ে আগেও প্রশ্ন তুলেছিল কংগ্রেস-সহ অন্য বিরোধী দলগুলি। কিন্তু বিজেপির তরফে সেনাকে অপমান করার অভিযোগ তোলা হয় দলগুলির বিরুদ্ধে। ২০১৯ সালের লোকসভায় বিজেপি বিপুল ভোটে জয়ী হওয়ার পর এই সংক্রান্ত মন্তব্য থেকে বিরত ছিল দলগুলি। দীর্ঘ দিন পরে কাশ্মীরের মাটি থেকে আবার পুরনো অভিযোগে সরব হল কংগ্রেস। এখনও এ বিষয়ে বিজেপির প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।