Adani Row

‘আদানি সেফ হ্যায়’! সংসদ ভবন চত্বরে স্লোগান লেখা জ্যাকেটে ‘ইন্ডিয়া’র ধর্না, তবে গরহাজির তৃণমূল

বুধবার সংসদ চত্বরে আদানি ‘ঘুষকাণ্ডে’ জেপিসি গড়ার দাবিতে স্লোগান লেখা জ্যাকেট পরে বিক্ষোভ দেখান ‘ইন্ডিয়া’র কয়েকটি শরিক দলের সাংসদেরা। কিন্তু সেখানে তৃণমূল সাংসদদের দেখা যায়নি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৪:১৩
Share:

সংসদ ভবনের মূল প্রবেশপথের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শনে রাহুল গান্ধী। ছবি: সংগৃহীত।

আদানি ঘুষকাণ্ডে যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি)-র তদন্ত চেয়ে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র ধারাবাহিক বিক্ষোভে বৃহস্পতিবার নতুন চমক। কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, আরজেডি, ডিএমকে, উদ্ধবসেনার সাংসদদের পরনে দেখা গেল কালো রঙের জ্যাকেট। তাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্লোগান ঈষৎ মুচড়ে লেখা— ‘মোদী-আদানি এক হ্যায়। আদানি সেফ হ্যায়’! বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী জ্য়াকেট পরেননি। কিন্তু তাঁর সাদা টি-শার্টে সাঁটা ছিল একই স্লোগান লেখা স্টিকার।

Advertisement

তবে সংসদ ভবনের মূল প্রবেশপথ মকর দ্বারের সামনে বৃহস্পতিবার দেশের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ বিরোধী দল বিক্ষোভে যোগ দিলেও দেখা যায়নি তৃণমূল সাংসদদের। এ প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের সাংসদ কীর্তি আজাদের মন্তব্য, ‘‘আমাদের আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু রয়েছে। মূল্যবৃদ্ধির মতো বিষয় রয়েছে। সেগুলি আমার সংসদের অধিবেশনে তুলে ধরব।’’ প্রসঙ্গত, এ বার মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা ভোটের প্রচারে মোদী ধারাবাহিক ভাবে ‘এক হ্যায় তো সেফ’ হ্যায় স্লোগান দিয়েছেন। মেরুকরণের উদ্দেশ্যেই তাঁর ওই ‘বার্তা’ ছিল বলে অভিযোগ বিরোধীদের।

আমেরিকার আদালতে আদানিদের বিরুদ্ধে ‘প্রমাণ-সহ অভিযোগপত্র’ (ইনডিক্টমেন্ট) জমা পড়েছে গত ২০ নভেম্বর। সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের বরাত পাওয়ার বিনিময়ে ভারতের সরকারি আধিকারিকদের (মন্ত্রী এবং আমলা) ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে গৌতম আদানি এবং তাঁর ভাইপো সাগর-সহ সাত জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে তাতে। শীতকালীন অধিবেশনের গোড়া থেকেই আদানিকাণ্ডের তদন্তে জেপিসি গঠনের দাবিতে সরব কংগ্রেস-সহ ‘ইন্ডিয়া’র শরিকেরা। কিন্তু তাতে শরিক হয়নি তৃণমূল। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের ডাকা বৈঠকে গরহাজির থেকেছেন তৃণমূল সাংসদেরা। বিরোধীদের কক্ষ সমন্বয়েও তাঁরা শামিল হননি।

Advertisement

তৃণমূলের রাজ্যসভা নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বুধবার এ প্রসঙ্গে বলেছিলেন, “সংসদে বিজেপির কুকীর্তিকে প্রকাশ্যে আনার সার্বিক কৌশলের ক্ষেত্রে আমরা সবাই একজোট। তবে বিভিন্ন দলের সেই কৌশলকে বাস্তবায়িত করার বিভিন্ন উপায় থাকতেই পারে।” কংগ্রেসের একটি সূত্র জানাচ্ছে, দলের সাংসদ গৌরব গগৈ ধর্নায় উপস্থিত থাকার অনুরোধ করে বুধবার তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেছিলেন। কিন্তু সেই প্রস্তাব খারিজ করে সুদীপ জানান, তৃণমূলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে স্থির হয়েছে, বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনা-সহ সাধারণ মানুষের স্বার্থের সঙ্গে যুক্ত মোট ছ’টি বিষয় নিয়েই তাঁরা সরব হবেন। আদানিকাণ্ড সেই তালিকায় নেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement