শপথের পর নীতীশ-তেজস্বী। টুইটার থেকে নেওয়া।
রেকর্ড গড়ে অষ্টম বার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন নীতীশ কুমার। উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন লালুপ্রসাদ যাদবের পুত্র তেজস্বী যাদব। আর শপথ নিয়ে উঠেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তাঁর দল বিজেপির দিকে তীক্ষ্ণ আক্রমণ ছুড়ে দিলেন নীতীশ। বললেন, ‘‘২০১৪-য় মোদী জিতেছেন ঠিক কথা। কিন্তু ২০২৪-এ জিতবেন কি?’’
রাজ্যপাল ফাগু চৌহানের কাছ থেকে শপথ নিয়েই সংবাদিকদের মুখোমুখি হন নীতীশ। সেখানে অবশ্যম্ভাবী ভাবে তাঁর দিকে ধেয়ে আসে সেই প্রশ্ন, তিনি কি ২৪-এর দিকে তাকিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সির নিশানায় এগোচ্ছেন? তার জবাবে নীতীশ নিজেকে প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার মনে করেন না। তার পরই নীতীশের ইঙ্গিত পূর্ণ মন্তব্য, ‘‘আসল প্রশ্ন হল, যিনি ২০১৪-য় জিতে এসেছিলেন, তিনি ২০২৪-এও জিতবেন কি?’’
বিহারে রাতারাতি তাদের সরকার ভেঙে পড়ার পর নীতীশকে কাঠগড়ায় তুলে লাগাতার আক্রমণ করে যাচ্ছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, নীতীশের মহাগঠবন্ধন সরকার পুরো মেয়াদ টিকবে না। বিজেপির দাবি উড়িয়ে দিয়ে নীতীশ বলেন, ‘‘আমার প্রাক্তন সঙ্গীরা সেখানে পৌঁছবে, যেখানে তারা ২০১৫-এর বিধানসভা ভোটে ছিল।’’
বুধবার দুপুর ২টোয় পটনায় রাজভবনে শপথ নেন নীতীশ এবং তেজস্বী। মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরা পরে শপথ নেবেন। সূত্রের খবর, ১৫ অগস্টের পর মন্ত্রিসভার বাকি সদস্যরা শপথ নেবেন। মন্ত্রিসভায় সবচেয়ে বেশি প্রতিনিধিত্ব থাকতে চলেছে আরজেডির। বিধানসভার স্পিকার পদটিও আরজেডির কাছে যাবে বলে সূত্রের দাবি।
প্রত্যাশিত ভাবেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান বয়কট করেছিল প্রধান বিরোধী বিজেপি। শপথ অনুষ্ঠান শুরুর আগে অবশ্য বিহারের প্রবীণ বিজেপি নেতা সুশীল মোদী দাবি করেছিলেন, তাঁকে কেউ আমন্ত্রণ জানায়নি। দলও আমন্ত্রণপত্র পায়নি। এ দিনই সুশীল বলেন, ‘‘নীতীশ যা করলেন, তা প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং বিহারের জনগণের অপমান ছাড়া আর কিছুই না। মানুষ এনডিএকে ভোট দিয়েছিল। নীতীশ সেই বিশ্বাস ভাঙলেন।’’
বুধবার সকালে লালুকে ফোন করে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন নীতীশ। দুই নেতার মধ্যে বেশ কিছু ক্ষণ কথা হয়।