গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
নির্বিচারে ডিজিটাল মুদ্রা বা ক্রিপ্টোকারেন্সির উপর নিষেধাজ্ঞা জারির প্রয়োজন নেই। তবে তার লেনদেন নিয়ন্ত্রণ করা উচিত বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডারের (আইএমএফ) মুখ্য অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ।
‘ন্যাশনাল কাউন্সিল অব অ্যাপ্লায়েড ইকনমিক রিসার্চ’ (এনসিএআইআর) আয়োজিত একটি আলোচনাসভায় গীতা বলেন, ‘‘নিষেধাজ্ঞা জারির পরিবর্তে বিশ্বজুড়ে ভার্চুয়াল সম্পদের ক্রমবর্ধমান চাহিদার কথা মাথায় রেখে একটি আন্তর্জাতিক নীতি প্রণয়ন করা উচিত।’’ উন্নয়নশীল দেশগুলি ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আর্থিক ভাবে উপকৃত হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
নরেন্দ্র মোদী সরকার কয়েক মাস আগে আইন করে বিটকয়েনের মতো কিছু ক্রিপ্টোকারেন্সি নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। বিটকয়েনের লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে ফৌজদারি মামলার ধারাও প্রস্তাবিত বিলে যুক্ত করা হচ্ছে বলে সরকারি সূত্রের খবর। যদিও চলতি সপ্তাহে সরকারি সূত্রে ইঙ্গিত মিলেছে নিষেধাজ্ঞার পরিবর্তে এ ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ জারি করা হতে পারে। গীতার মতে আন্তর্জাতিক নীতি গৃহীত না হলে কোনও দেশের পক্ষে একক ভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সি নিষিদ্ধ করার উদ্যোগে সফল হওয়া কঠিন। কারণ, সীমান্তের সীমারেখা না মেনে বিশ্বের যে কোনও দেশ থেকেই ক্রিপ্টোকারেন্সির কারবার চালানো সম্ভব।
প্রসঙ্গত, ২০১৯-এর জুলাই মাসেই ভারতে বিটকয়েন-সহ সমস্ত ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই)। বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে একটি নির্দেশিকা পাঠিয়ে আরবিআই জানিয়ে দিয়েছিল, ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনা-বেচা বা লেনদেন করে এমন কোনও অ্যাপে টাকা ট্রান্সফার করতে পারবে না কোনও ব্যাঙ্ক। তার ফলে সরাসরি ক্রিপ্টোকারেন্সি নিষিদ্ধ না হলেও সরকারি ভাবে এর লেনদেন বন্ধ হয়ে যায়। যদিও ঘুরপথে বিটকয়েনের লেনদেন এ দেশে চলছে বলে অভিযোগ। এ বার আইনি পথে সেই নিষেধাজ্ঞা এনে তা বন্ধ করতে সক্রিয় হয়েছে কেন্দ্র।