মেঘ ভাঙা বৃষ্টির পরের অবস্থা। টুইটার থেকে নেওয়া।
উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড়ে ভারত-নেপাল সীমান্তের কাছে মেঘ ভাঙা বৃষ্টির তাণ্ডব এখন অতীত। তবে বর্ষাজনিত আরও দুর্যোগ অপেক্ষা করছে রাজ্যবাসীর জন্য। এমনই পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের। উত্তরাখণ্ডের পাঁচ জেলায় ইতিমধ্যেই হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তৈরি রাখা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে।
শনিবার মেঘ ভাঙা বৃষ্টির জেরে ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছিল কালী নদী। সেই জলোচ্ছ্বাস এখনও পুরোপুরি কমেনি। ফলে নদী তীরবর্তী এলাকায় সতর্কবার্তা এখনও জারি রয়েছে। প্রশাসনের আধিকারিকদের আশঙ্কা, এর মধ্যে বর্ষার মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
শনিবার থেকেই উত্তরকাশীর গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী এবং উত্তরাখণ্ডের রাজধানী দেহরাদূনে অবিরাম বৃষ্টি চলছে। রবিবারও তা থামার লক্ষণ নেই। বৃষ্টির দাপটে যমুনোত্রী জাতীয় সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গঙ্গোত্রী রাজপথও হেলগুগাদের কাছে বন্ধ।
পরিস্থিতি জরিপ করতে হেলিকপ্টারে এলাকা পরিদর্শন করেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামি। রবিবার মেঘ ভাঙা বৃষ্টি হয়েছে যে এলাকায়, সেই পিথোরাগড় জেলার ধরচুলা পরিদর্শন করেন তিনি।
চার দিকে প্রবল দুর্যোগ সত্ত্বেও কেদারনাথ, রুদ্রপ্রয়াগে আকাশ পরিষ্কার। তীর্থযাত্রীদের যাতায়াতও স্বাভাবিক। তবে কত দিন এমন অবস্থা থাকবে, তা বলা যাচ্ছে না। ফলে তৈরি রাখা হয়েছে প্রশাসনের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রথমে খানিকটা স্তিমিত থাকলেও উত্তরাখণ্ডে বর্ষা আবার ফুঁসে উঠতে শুরু করেছে। আগামী কয়েক দিন ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হবে। প্রশাসনের মাথাব্যথার কারণ মেঘ ভাঙা বৃষ্টি। শনিবারের পর আবার তেমন পরিস্থিতি তৈরি হলে কী ভাবে তা মোকাবিলা করা হবে, তাই এখন ভাবছেন প্রশাসনের কর্তারা।