হস্টেলের উঠোনে ছাত্রকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
হস্টেলের তিনতলা থেকে পড়ে মৃত্যু ২৯ বছরের ছাত্রের। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট, বেঙ্গালুরুর (আইআইএম-বি) ঘটনা। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, দুর্ঘটনাবশত পড়ে মৃত্যু হয়েছে নিলয় কৈলাশভাই পটেল নামে ওই পড়ুয়ার। যদিও সমাজমাধ্যমে পড়ুয়াদের একাংশ দাবি করেছে, আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। আর সে জন্য তাঁরা জাতপাতের বিভেদকেই দায়ী করেছেন। পুলিশ যদিও তেমন কিছু মনে করছে না। তাদের দাবি, ঘটনাস্থল বা পড়ুয়ার হস্টেলের ঘর থেকে কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি।
নিলয় সুরাতের বাসিন্দা। শনিবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে নিজের ২৯ বছরের জন্মদিন পালন করেছিলেন তিনি। এক বন্ধুর ঘরে কেক কেটে রাত ১২টার পরে নিজের ঘরে ফিরেছিলেন। রবিবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ হস্টেলের উঠোনে তাঁকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। রক্ষীরা তাঁকে পড়ে থাকতে দেখে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এর কিছু ক্ষণ পরে আইআইএম-বি কর্তৃপক্ষ এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে নিলয়ের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেন। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এর মধ্যেই সমাজমাধ্যমে নিলয়ের মৃত্যু নিয়ে বেশ কয়েক জন পড়ুয়া কিছু পোস্ট করেন। তাঁরা দাবি তোলেন, হেনস্থার শিকার হয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন নিলয়। আইআইএম-বির থেকে জবাব চেয়ে এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট দেয় সর্বভারতীয় ওবিসি পড়ুয়া সংগঠন (এআইওবিসিএসএ)। তারা লেখে, অনগ্রসর শ্রেণির সমস্যা, উদ্বেগ চিহ্নিত করার মতো পরিকাঠামো নেই এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। তাদের জবাব দিতে হবে। শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে ট্যাগ করেও এই বিষয়টিতে নজর দেওয়ার আর্জি জানান। আইআইএম-বির ডিরেক্টর ঋষিকেশ টি কৃষ্ণণ এই নিয়ে মুখ খোলেননি। পুলিশ পিটিআইকে বলেছে, ‘‘আমরা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি। তার পরেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।’’