বাসের চালককে গুলি করার অভিযোগ কন্ডাক্টরের বিরুদ্ধে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
এক সঙ্গে বসে মদ্যপান করছিলেন দিল্লির সরকারি বাসের চালক এবং কন্ডাক্টর। হঠাৎই বচসার জেরে চালককে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠল কন্ডাক্টরের বিরুদ্ধে। এখানেই শেষ নয়, এর পর ‘বন্ধু’ চালকের দেহ নিয়ে সোজা থানায় চলে যান অভিযুক্ত। সেখানে আত্মসমর্পণ করেন। ওই কন্ডাক্টরকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ।
শনিবার উত্তর দিল্লির আলিপুর এলাকায় এই ঘটনা হয়েছে। নিহত মনজিৎ এবং অভিযুক্ত যোগেশ, দু’জনেই দিল্লি ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (ডিটিসি)-র কর্মী। মনজিৎ বাসের চালক। যোগেশ কন্ডাক্টর। দু’জনেই মহম্মদপুর গ্রামের বাসিন্দা। তাঁদের পরিচিতদের দাবি, দু’জনেই ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন।
শনিবার রাতে আলিপুরে একটি ভ্যানে বসে মদ্যপান করছিলেন মনজিৎ এবং যোগেশ। তখনই বচসা শুরু হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মনজিতের বুকে গুলি করেন যোগেশ। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এর পর তাঁর দেহ নিয়ে ভ্যান চালিয়ে থানায় উপস্থিত হন যোগেশ। সেখানে আত্মসমর্পণ করেন। কী কারণে দু’জনের বচসা শুরু হয়েছিল, এখন তা জানতে যোগেশকে জেরা করছে পুলিশ।