বয়স্কদের জন্যও ছাড়ের ব্যবস্থা রেখেছে এই রেস্তরাঁ। তারা সেই উদ্যোগের নাম দিয়েছে ‘এল্ডার দ্য বেটার’। গ্রাহকের সঙ্গে কোনও বয়স্ক ব্যক্তি থাকেন তা হলে তাঁর যা বয়স, সেই পরিমাণ টাকা ছাড় দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষ।
ছবি সৌজন্য টুইটার।
রেস্তরাঁয় ঢুকে সম্বোধন যত নম্র হবে, খাবারের দাম ততই কমবে! গ্রাহকদের জন্য এমনই অভিনব প্রস্তাব আনল এক রেস্তরাঁ। নমনীয়তা এবং বিনম্রতাকে অভিনব উপায়ে তুলে ধরতেই তাঁরা এই উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন রেস্তরাঁ মালিক।
রেস্তরাঁটি হায়দরাবাদের খাজাগুডায়। অনেক সময় রেস্তরাঁয় খাবারের অর্ডার দেওয়ার সময় ওয়েটার বা কর্মীদের বিনম্রতার সম্বোধন করা হয় না। ‘প্লিজ’, ‘থ্যাঙ্ক ইউ’— যে শব্দগুলি নম্রতার প্রতীক হিসেবে ধরা হয়ে থাকে, অনেক ক্ষেত্রে গ্রাহকরা রেস্তরাঁয় কর্মীদের উদ্দেশে এই শব্দগুলি ব্যবহার করতে ভুলে যান। তাই কর্মীদের প্রতি কোনও গ্রাহক যাতে রূঢ় না হন, সে কারণেই এই শব্দগুলি ব্যবহারের মধ্য দিয়েই গ্রাহকদের বিশেষ ছাড় এবং প্রস্তাবের আয়োজন করেছে হায়দরাবাদের ওই রেস্তরাঁ।
এ প্রসঙ্গে একটি বিবৃতিও প্রকাশ করেছে তারা। সেখানে বলা হয়েছে, যে সব গ্রাহক এই শব্দবন্ধ ব্যবহার করবেন এবং কর্মীদের প্রতি ভাল আচরণ করবেন, তাঁরা ৩৫ টাকা পর্যন্ত ছাড় পাবেন খাবারে। আরও বলা হয়েছে যে, গ্রাহকদের মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে এবং সৌজন্য ও নম্রতাকে আরও চারিয়ে দিতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তেলঙ্গানা টুডে-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্যাক্সসমেত নিরামিষ থালির দাম ১৬৫ টাকা। কিন্তু কোনও গ্রাহক যদি রেস্তরাঁয় ঢুকে বলেন, ‘এ থালি প্লিজ’! ১৬৫ টাকার থালির দাম তৎক্ষণাৎ কমিয়ে করা হবে ১৫০ টাকা। কোনও গ্রাহক যদি আরও বিনম্র ভাষায় সম্বোধন করে বলেন, ‘গুড আফটারনুন, এ থালি প্লিজ!’ সেই থালির দম কমে হবে ১৩৫। হোটেলে ঢোকার আগেই বোর্ডে সেই বিনম্রতার বার্তা লিখে দেওয়া হয়েছে।
বয়স্কদের জন্যও ছাড়ের ব্যবস্থা রেখেছে এই রেস্তরাঁ। তারা সেই উদ্যোগের নাম দিয়েছে ‘এল্ডার দ্য বেটার’। গ্রাহকের সঙ্গে কোনও বয়স্ক ব্যক্তি থাকেন তা হলে তাঁর যা বয়স, সেই পরিমাণ টাকা ছাড় দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষ।