প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
জমি সংক্রান্ত একটি অনিয়মের তদন্তের নির্দেশ দেওয়ায় নিম্ন আদালতের এক বিচারককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত সেই আইএএস অফিসার শ্যামবীরের বিরুদ্ধেই এ বার আইনি পদক্ষেপের নির্দেশ দিল জম্মু ও কাশ্মীর হাই কোর্ট!
গত জুন মাসে জমি সংক্রান্ত একটি ক্ষতিপূরণের মামলায় আদালতের আদেশ না মানার অভিযোগে আইএএস আধিকারিক তথা গান্ডেরবাল জেলার ডেপুটি কমিশনার শ্যামবীরের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক ফয়াজ আহমেদ কুরেশি। বার বার সমন পাঠালেও অভিযুক্ত অফিসার হাজিরা না দেওয়ায় গত ২৩ জুলাই তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি অবমাননার অভিযোগে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক কুরেশি। তার পরেই শ্যামবীর ওই বিচারককে হুমকি দেন বলে অভিযোগ।
এর পরেই মামলাটি হাই কোর্টে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন বিচারক কুরেশি। তিনি হাই কোর্টকে জানান, বার বার নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও অভিযুক্ত সরকারি আধিকারিক আদালতে হাজিরা দেননি! জম্মু ও কাশ্মীর হাই কোর্ট শুক্রবার অভিযুক্ত আইএএস অফিসারের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অবমাননার মামলা রুজু করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। বিচারপতি সঞ্জীব কুমার এবং বিচারপতি অতুল শ্রীধরন আদেশ দেন, শ্যামবীরকে সোমবার (৫ অগস্ট) সকাল ১১টায় আদালতে হাজির হতে হবে। এই মামলায় সিনিয়র আইনজীবী রিয়াজ আহমেদ জানকে ‘অ্যামিকাস কিউরি’ (আদালতবান্ধব) নিয়োগ করেছে দুই বিচারপতির বেঞ্চ। ২০১৮ ব্যাচের আইএএস অফিসার শ্যামবীর ২০২২ সাল থেকে গান্ডেরবাল জেলার ডেপুটি কমিশনার পদে রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে পদের অপব্যবহার এবং ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে মামলা করা যেতে পারে বলেও পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে হাই কোর্ট।