(বাঁ দিক থেকে) বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, ইসমাইল হানিয়া এবং আয়াতোল্লা আলি খোমেইনি। —ফাইল চিত্র।
ইরান এবং ইজ়রায়েলের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার আবহে এ বার পশ্চিম এশিয়ায় নতুন করে সেনা মোতায়েন শুরু করার সিদ্ধান্ত নিল আমেরিকা! শুক্রবার পেন্টাগনের তরফে জানানো হয়েছে, হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার হত্যার পরে ইরান প্রকাশ্যে ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা করছে। এই পরিস্থিতিতে ওই অঞ্চলে আমেরিকা সেনা, অতিরিক্ত যুদ্ধজাহাজ এবং যুদ্ধবিমান মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজ়েশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মঙ্গলবার সে দেশের রাজধানী তেহরানে হাজির ছিলেন স্বাধীনতাপন্থী প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের প্রধান হানিয়া। সে রাতেই একটি সরকারি অতিথিশালায় তাঁকে ইজ়রায়েলি গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ খুন করে বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে ইরান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশের। সে ক্ষেত্রে গাজ়া এবং লেবাননে যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে ‘তৃতীয় ফ্রন্ট’ খুলতে বাধ্য হবে তেল আভিব।
বস্তুত, হানিয়ার খুনের বদলা নিতে ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে ‘সরাসরি সামরিক প্রত্যাঘাতে’র নির্দেশ দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আমি খোমেইনি স্বয়ং। তাঁর ওই ‘বার্তা’ পেয়েই বুধবার রাতে বৈঠক করেছে ইরানের জাতীয় সামরিক পরিষদ। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে পশ্চিম এশিয়ায়। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের এপ্রিলে সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে ইরানের দূতাবাসে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। এতে ইরান প্রশাসনের দুই পদস্থ আধিকারিক-সহ মোট ১২ জনের মৃত্যু হয়। কেউ এই বিমান হামলার দায় স্বীকার না করলেও মনে করা হয় যে, এর নেপথ্যে ছিল ইজ়রায়েল।