মোদী পদবি অবমাননা মামলায় রাহুল গান্ধীর সাজার উপর সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইট তিনি বলেন, “এটি বিচারবিভাগের জয়।” শুধু তাই-ই নয়, এই জয় যে ‘ইন্ডিয়া’কে আরও জোটবদ্ধ হয়ে লড়াই করার শক্তি জোগাল, সে কথাও বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আর এস গাভাই এবং বিচারপতি পিকে মিশ্রের বেঞ্চ রাহুলের দু’বছরের জেলের সাজার উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে। ফলে সুরাত আদালতের রায় আপাতত কার্যকর হচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে কংগ্রেস জানিয়েছে, ঘৃণার বিরুদ্ধে ভালবাসার জয় হয়েছে। সত্যের জয় হয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে অধীর বলেন, “সত্যমেব জয়তে। রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে যে জঘন্য ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল, আজ প্রমাণিত হল এই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে। এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করল যে, এই দেশে বিচারব্যবস্থা অটুট রয়েছে।”
‘অপরাধমূলক মানহানি’ মামলায় দোষী সাব্যস্ত রাহুলের দু’বছর জেলের যে সাজা গত ২৩ মার্চ সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালত দিয়েছিল, তার উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে রাহুলের আবেদন গত ৭ জুলাই খারিজ করে দিয়েছিল গুজরাত হাই কোর্টের বিচারপতি হেমন্ত প্রচ্ছকের বেঞ্চ। গুজরাত হাই কোর্টের আগে সুরাতের দায়রা আদালতও সাজার রায় বহাল রেখেছিল। কিন্তু শুক্রবারে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর কংগ্রেসের মুখে হাসি ফুটল। স্বস্তি পেলেন রাহুলও।
ইন্ডিয়া জোটের শরিক সমাজবাদী পার্টিও রাহুলের ‘মুক্তি’তে বিচারব্যবস্থারই জয় দেখছেন। সপার প্রধান অখিলেশ যাদব টুইট করেন, “সুপ্রিম কোর্ট রাহুল গান্ধীর সাজায় স্থগিতাদেশ দেওয়ায় বিচারব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা আরও বাড়ল।” এই ঘটনায় বিজেপির অহংকার ধাক্কা খেল বলেই কটাক্ষ করেছেন অখিলেশ।
জোটের আর এক শরিক রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরডেজি) সুপ্রি কোর্টের এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছে। দলের তরফে লালুপুত্র তেজস্বী যাদব টুইট করেন, “রাহুল গান্ধীর মামলায় সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশকে স্বাগত। এই নির্দেশে বড় ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। যদি এই ধাক্কা তাদের না লাগত তা হলে বিরোধী দলেন নেতানেত্রীদের তাদের ষড়যন্ত্রের শিকার বানাতে আরও সাহস পেত। সত্যের জয় হল।”
তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী তথা ডিএমকে প্রধান এম কে স্ট্যালিনও সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন। এই নির্দেশ যে বিচারব্যবস্থার উপর বিশ্বাস অটুট রাখবে সে কথাও জানিয়েছেন স্ট্যালিন।