Dowry Death

পণের জন্য শাশুড়ির অত্যাচার, শিশুপুত্রকে খুনের পর চরম পথ বেছে নিলেন হায়দরাবাদের বধূ

বধূর মা-বাবার অভিযোগ, পণের দাবিতে তাঁদের মেয়েকে প্রায়শই মারধর করতেন তাঁর শাশুড়ি। এ নিয়ে জামাইকে জানালেও হেলদোল ছিল না তাঁর। বরং মেয়েকে হেনস্থা করতেন জামাই।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

হায়দরাবাদ শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০২৩ ১৮:২১
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

বিয়ের পর থেকে পণের দাবিতে মারধর করতেন শাশুড়ি। সেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে শিশুপুত্রকে খুন করে আত্মঘাতী হলেন হায়দরাবাদের এক বধূ। পুলিশের কাছে এমনই অভিযোগ করেছেন মৃতার মা।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার গভীর রাতে ফিল্ম নগর থানা এলাকার বিনায়ক নগরে এক বধূ এবং তাঁর তিন বছরের শিশুপুত্রের ঝুলন্ত দেহ পাওয়া গিয়েছে। ২২ বছরের ওই বধূর মা-বাবার অভিযোগ, পণের দাবিতে মেয়েকে প্রায়শই মারধর করতেন তাঁর শাশুড়ি। এ নিয়ে জামাইকে জানালেও হেলদোল ছিল না তাঁর। বরং মেয়েকে হেনস্থা করতেন জামাই। মায়ের কাছে ফোন করে সাহায্যের জন্য আর্তিও জানিয়েছিলেন। সে সময়ই আত্মহত্যা করার কথা বলেছিলেন মেয়ে।

সংবাদমাধ্যমের কাছে মৃতার মায়ের দাবি, ‘‘মেয়েকে বলেছিলাম যাতে সে ভেঙে না পড়ে... আত্মহত্যার চিন্তাও মন থেকে সরিয়ে ফেলতে বলেছিলাম। পণের টাকা নিয়ে ওর শাশুড়ির সঙ্গে প্রায়ই ঝামেলা হত। মারধরও করতেন তিনি। তবে তাতে জামাইয়ের কোনও হেলদোল ছিল না। সেই কষ্ট সইতে না পেরেই আত্মহত্যা করেছে আমার মেয়ে।’’ অভিযুক্তদের গ্রেফতারির দাবিতে শনিবার ফিল্ম নগর থানার সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন মৃতার পরিবারের সদস্যরা।

Advertisement

এই মামলায় পণের দাবিতে মৃত্যুর ঘটনার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement