— প্রতীকী ছবি।
স্ত্রী ছেড়ে চলে গিয়েছেন। তাই আরও একটি বিয়ে করা দরকার। কিন্তু পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়াচ্ছে দুই শিশু সন্তান। বিয়ে করতে মরিয়া বাবার হাতে তাই খুন হয়ে গেল ১ এবং ৩ বছরের দুই কন্যাসন্তান। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের দেহরাদূনে। পুলিশ লখনউ থেকে অভিযুক্ত বাবা রাজেন্দ্রকে গ্রেফতার করেছে।
পেশায় ভাঙাচোরার দোকান চালানো রাজেন্দ্রর স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন হায়দরাবাদ। দুই কন্যা সন্তানকে রেখে গিয়েছেন বাবার কাছে। এ দিকে স্ত্রী ছেড়ে যাওয়ার পরই আবারও একটি বিয়ে করতে মরিয়া হয়ে ওঠেন রাজেন্দ্র। তাঁর ধারণা ছিল, নতুন বিয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে তাঁরই দুই সন্তান। কোনও মহিলাই তাঁকে বিয়ে করতে রাজি নন। অনেক ভেবে উপায় বার করলেন রাজেন্দ্র। ঠিক করলেন, পথের কাঁটা দুই সন্তানকেই পথ থেকে চিরকালের জন্য সরিয়ে দেবেন। যেমন ভাবা তেমন কাজ, দুই সন্তানকেই গলা টিপে খুন করলেন তিনি। তার পর একটি বন্ধ ঘরে ফেলে এলেন লাশ।
ঘটনার কিছু দিন পর রাজেন্দ্রর শাশুড়ি আসু দেবী ওই বন্ধ ঘরে ঢোকেন। দেখেন, পড়ে রয়েছে দুই নাতনির নিথর দেহ। আসুর অভিযোগ, তাঁর জামাইয়ের হাতেই খুন হয়েছে নাতনিরা। পুলিশকে তিনি বলেন, ‘‘রাজেন্দ্র তাঁর মেয়ের উপর নিয়মিত অত্যাচার করতেন। কেন ছেলে জন্ম দিলেন না তা নিয়ে স্ত্রীকে মারধরও ছিল রোজের ঘটনা। স্বামীর ব্যবহারে বিরক্ত হয়ে মেয়ে তাঁকে ছেড়ে চলে যান। তার পর রাজেন্দ্র আমাকে হুমকি দিতে শুরু করেন। বলতে থাকেন, কেন তাঁর কাঁধে বাচ্চাদের ভার চাপিয়ে কেটে পড়ল মেয়ে!’’
পুলিশ রাজেন্দ্রর খোঁজে তল্লাশি শুরু করে। লখনউ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। জেরায় নিজের সন্তান খুনের কথা কবুল করেন রাজেন্দ্র। পুলিশকে জানান, আরও একটি বিয়ে করতে চান তিনি। কিন্তু সমস্যা বাচ্চাদের নিয়ে। তাই বাচ্চাদের খুন করার সিদ্ধান্ত নেন।