গাড়িতে বসে শর্মিলা, সেই অবস্থাতেই ক্রেন দিয়ে তা টেনে নিয়ে যায় পুলিশ। ছবি: টুইটার।
গাড়িতে বসে রয়েছেন প্রতিবাদী নেত্রী। সেই গাড়ি ক্রেন দিয়ে হিড় হিড় করে টেনে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। হায়দরাবাদের রাস্তায় এই ঘটনা নিয়ে শুরু বিতর্ক। গাড়িতে বসে ছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগনমোহন রেড্ডির বোন ওয়াইএস শর্মিলা। সেই অবস্থাতেই গাড়ি টেনে নিয়ে যায় পুলিশ।
কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পদযাত্রায় নেমেছে শর্মিলার দল ওয়াইএসআর তেলঙ্গানা পার্টি। ইতিমধ্যে ৩,৫০০ কিলোমিটার পথ হেঁটেছেন নেত্রী এবং তাঁর দলের কর্মী। সোমবার ওয়ারাঙ্গলে শাসকদল তেলঙ্গানা রাষ্ট্রসমিতি (টিআরএস)-র কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় শর্মিলার দলের সদস্যদের। তার পর নেত্রীকে আটক করেছিল পুলিশ। পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের সরকারি ঠিকানা প্রগতি ভবনের সামনে প্রতিবাদ শুরু করেন ওয়াইএসআর তেলঙ্গানা পার্টির কর্মীরা। নিজের গাড়িতে চেপে প্রতিবাদস্থলের উদ্দেশে রওনা দিচ্ছিলেন শর্মিলা। তখনই পথ আটকে গাড়িটিকে ক্রেন দিয়ে টেনে এসআর নগর থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
ছবিতে দেখা গিয়েছে, শর্মিলা যে গাড়িতে বসে রয়েছেন, তার কাচ ভেঙে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, সোমবার শাসকদল টিআরএসের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময়ই ওই গাড়ির কাচ ভেঙে গিয়েছে। ওয়াইএসআর তেলঙ্গানা পার্টির অভিযোগ, শাসকদলের হাতে আক্রান্ত হওয়ার পরেও তাঁদের নেত্রীকেই আটক করে পুলিশ। সোমবার আটক হওয়ার পর শর্মিলা চিৎকার করে বলেন, ‘‘আমাকে গ্রেফতার করছেন কেন? আমি আক্রান্ত, অভিযুক্ত নই।’’ তিনি এ-ও দাবি করেন, তাঁদের জনপ্রিয়তায় ভয় পেয়েই এ সব করছে কেসিআর সরকার।
সোমবারের সংঘর্ষের পর পদযাত্রার অনুমতি সাময়িক ভাবে বাতিল করে পুলিশ। জানায়, সাম্প্রদায়িক উত্তেজনাপ্রবণ এলাকার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল বলেই পদযাত্রার অনুমতি বাতিল করা হয়েছে। যদিও শর্মিলাকে গ্রেফতারের কথা মানেননি এক পুলিশ আধিকারিক।