কমিশনের চেয়ারম্যান করা হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে। —ফাইল চিত্র।
ষষ্ঠ অর্থ কমিশন গড়ল রাজ্য সরকার। কমিশনের চেয়ারম্যান করা হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, কী ধরনের কাজ করলে পঞ্চায়েতগুলির আর্থিক ও পরিকাঠামোগত উন্নয়ন হবে, বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে সরকারি অর্থ কী ভাবে ব্যবহৃত হবে, সেই সংক্রান্ত পরিকল্পনা করবে এই কমিশন।
দ্বিবেদী-সহ ষষ্ঠ অর্থ কমিশনে মোট ৫ জন সদস্য রয়েছেন বলে জানিয়েছে নবান্ন। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব ছাড়াও কমিশনে আছেন দু’জন প্রাক্তন আইএএস অফিসার অজয় ভট্টাচার্য এবং বর্ণালী বিশ্বাস। রয়েছেন প্রাক্তন ডাব্লিউবিসিএস অফিসার আশিসকুমার চক্রবর্তী এবং ব্যাঙ্ক আধিকারিক রুমা মুখোপাধ্যায়।
নবান্নের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ষষ্ঠ অর্থ কমিশনের মেয়াদ দু’বছর। কমিশন মূলত দেখবে পঞ্চায়েতের আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়। সেই সঙ্গে উন্নয়নমূলক কাজের জন্য সঠিক পরিকল্পনা করা হচ্ছে কি না বা তা আদৌ বাস্তবায়িত হচ্ছে কি না সেটাও দেখবে এই কমিশন। দেখবে পঞ্চায়েতের আয় ও কর সংক্রান্ত বিষয়ও।
অন্য দিকে, পুরসভাগুলির অর্থনৈতিক অবস্থা খতিয়ে দেখে রাজ্যপালকে বিভিন্ন প্রস্তাব দেবে এই কমিশন। আগামী বছরের ১ এপ্রিল থেকে কাজ শুরু করবে ষষ্ঠ অর্থ কমিশন। তার ৬ মাসের মধ্যেই তৈরি হবে পরবর্তী পাঁচ বছরের রূপরেখা। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত এবং পুরসভার আর্থিক পরিস্থিতি দেখে সেই অনুযায়ী পরামর্শও দেবে এই কমিশন।
এর আগে ২০২২ সালের মে মাসে পঞ্চম অর্থ কমিশন গঠন করে রাজ্য সরকার। সেই কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকার। অভিরূপ ছাড়াও ওই কমিশনে আরও চারজন সদস্য ছিলেন। তাঁদের মধ্যে তিন জন ছিলেন রাজ্য সরকারের অবসরপ্রাপ্ত আমলা। তাঁরা বর্ণালী বিশ্বাস, স্বপন কুমার পাল ও আশিসকুমার চক্রবর্তী। এ ছাড়াও সদস্য হিসাবে অর্থ কমিশনে ছিলেন রুমা মুখোপাধ্যায়। বর্ণালী, আশিস এবং রুমা ষষ্ঠ অর্থ কমিশনেও রয়েছেন।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে মুখ্যসচিবের পদ থেকে চাকরি জীবনে অবসর গ্রহণ করেন দ্বিবেদী। তার পর তাঁকে তিন বছরের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর্থিক উপদেষ্টা পদে নিয়োগ করে রাজ্য সরকার। এ বার ষষ্ঠ অর্থ কমিশনের নেতৃত্বে তিনি।