নদী ভাঙন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবে রাজ্যের সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল। — ফাইল ছবি।
ব্যতিক্রমী ছবিই বটে! রাজ্যে শাসক এবং বিরোধী দল এই প্রথম কোনও বিষয়ে সহমত। এখানেই শেষ নয়, নিজেদের দাবি নিয়ে তারা যাবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে। মঙ্গলবার নদী ভাঙন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল পাঠানোর প্রস্তাব বিধানসভায় পেশ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সেই প্রস্তাব সমর্থন করলেন বিজেপির পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগগা। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, শাসক এবং বিরোধীরা একসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নদীর ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাতে যাবে।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে এই নিয়ে কথা বলে শাসক শিবিরকে জানাবেন মনোজ টিগগা। শাসকদলের কোন কোন বিধায়ক প্রতিনিধি হয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাবেন, তা ঠিক করার দায়িত্ব শোভনদেবকে দিয়েছেন স্পিকার। বিরোধী দলের প্রতিনিধিদের নাম জানাবেন মনোজ।
এর মধ্যে মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম প্রস্তাব দিয়েছেন, নদী ভাঙন নিয়ে যখন সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিজেদের দাবি জানাতে যাবে, তখন পশ্চিমবঙ্গের নাম বদলের বিষয়টিও যেন তোলা হয়। তাঁর অনুরোধ, নাম বদল নিয়ে কেন্দ্রের অনুমোদনের জন্য অনুরোধ করুক প্রতিনিধি দল।
রবিবারই আলিপুরদুয়ারে গিয়ে নদী ভাঙন নিয়ে বিজেপি জনপ্রতিনিধিদের একহাত নেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। অভিযোগ করেন, বিজেপির বিধায়করা মানুষের কথা ভাবেন না। মানুষকে মেরে সমর্থন আদায় করতে চাইছেন তাঁরা। পাল্টা রাজ্য সরকারের দিকে আঙুল তোলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। জানান, ডুয়ার্স এবং আলিপুরদুয়ারের নদী ভাঙন নিয়ে তিনি ক্ষোভ জানিয়েছেন। তার পরেও কান দেয়নি রাজ্য সরকার। ভারত-ভুটান যৌথ নদী কমিশন গঠনে উদ্যোগী নয় রাজ্য। এই পদক্ষেপ রাজ্য সরকারকেই করতে হবে। সুমন আরও অভিযোগ করেন, রাজ্য এই সংক্রান্ত বৈঠকে তাঁদের ডাকে না। এর পরেই মঙ্গলবার শাসক ও বিরোধীরা সহমত হয়ে নদী ভাঙন নিয়ে পদক্ষেপ করতে চলেছে।