সুলতানা আরও বলেন, “লোহার রড দিয়ে মাথায় মারার পর রাজু যখন ছটফট করছিল, মৃত্যু নিশ্চিত করতে আঘাতের পর আঘাত করে গিয়েছে ওর মাথায়। ৩০-৩৫ মিনিট ধরে ওকে মেরেছে। মাথা ফেটে ঘিলু বেরিয়ে এসেছিল।”
সুলতানা।
স্বামীকে যে ভাবে তাঁর দাদা খুন করেছে, ঠিক একই কায়দায় দাদাকে মেরে ফেলার হুমকি দিলেন সদ্য স্বামীহারা হায়দরবাদের সৈয়দ আসরিন সুলতানা ওরফে পল্লবী। বুধবার সন্ধ্যায় তাঁর স্বামী বি নাগরাজুকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে তাঁরই দাদা সৈয়দ মবিন আহমেদ এবং তাঁর সঙ্গী মহম্মদ মাসুদ আহমদের বিরুদ্ধে।
সুলতানা বলেন, “যত ক্ষণ না মাথার ঘিলু বেরিয়ে এসেছিল, তত ক্ষণ পর্যন্ত আমার রাজুকে দাদা পিটিয়েছে। দাদার কাছে হাতজোড় করে মিনতি করেছিলাম ওকে মেরো না। তোমরা চাইলে আমি ওকে ছেড়ে দেব। কিন্তু ওকে প্রাণে মেরো না। কিন্তু দাদা শোনেনি।”
সুলতানা আরও বলেন, “লোহার রড দিয়ে মাথায় মারার পর রাজু যখন ছটফট করছিল, মৃত্যু নিশ্চিত করতে আঘাতের পর আঘাত করে গিয়েছে ওর মাথায়। ৩০-৩৫ মিনিট ধরে ওকে মেরেছে। মাথা ফেটে ঘিলু বেরিয়ে এসেছিল।”
যে কোনও সময়েই তাঁদের উপর হামলা হতে পারে, বিয়ের পর থেকেই এই আশঙ্কা ছিল সুলতানার মনে। সুলতানা জানান, রাজু বার বারই বলেছিল, ১-২ বছরের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাবে। সুলতানাকে ইদের কেনাকাটা করে দেওয়ার জন্য ২৫ হাজার টাকায় নিজের সোনার হারও বিক্রি করে দিয়েছিলেন রাজু।
সুলতানার হুঙ্কার, “ও আমার দাদা। আমি ওর বোন। আমার শরীরেও একই রক্ত বইছে। আমার রাজুকে যে ভাবে মারা হয়েছে, ঠিক একই ভাবে দাদাকে মারতে চাই।”