— ফাইল চিত্র।
কী ভাবে খুন করা যায়, ইন্টারনেটে উত্তর খুঁজেই প্রাক্তন প্রেমিকাকে কোপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন হায়দরাবাদের যুবক। ব্রিটেনের এক আদালতে এমনই কথা জানাল লন্ডনের পুলিশ। ২০২২ সালের এই ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে ১৬ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত।
২০১৭ সালে সোনা বিজু নামে তাঁরই সহপাঠীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন শ্রীরাম আম্বারলা। কিন্তু বছর দুই পরেই সেই সম্পর্কে ছেদ পড়ে। শ্রীরামের সঙ্গে সম্পর্কে থাকতে রাজি ছিলেন না বিজু। তবে এই বিচ্ছেদ মেনে নিতে পারেননি ওই যুবক। বার বার তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকাকে নানা ভাবে উত্ত্যক্ত করতেন। এমনকি, প্রাণনাশের হুমকিও দিতেন। যা নিয়ে দু’জনের মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ২০২২ সালে শ্রীরাম এবং বিজু, দু’জনেই লন্ডনে স্নাতকোত্তর পড়তে চলে যান। বিদেশে গিয়েও বিজুকে ছাড়তে রাজি ছিলেন না শ্রীরাম। ওই বছরের মার্চ মাসে এক রেস্তরাঁয় ঢুকে নিজের প্রাক্তন প্রেমিকাকে ছুরি দিয়ে কোপান শ্রীরাম। তার পরই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বিজুকে। টানা এক মাস সেখানে চিকিৎসা চলে। প্রাণে বেঁচে যান তিনি।
সেই খুনের মামলার শুনানিতে আদালতে পুলিশ দাবি করে, বিজুকে খুন করতেই রেস্তরাঁতে গিয়েছিলেন অভিযুক্ত। সেই রেস্তরাঁতেই কাজ করতেন বিজু। ছুরি দিয়ে তাঁর গলায় আঘাত করার আগে ইন্টারেনেটে অনেক কিছু সার্চ করেন শ্রীরাম। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, ‘কী ভাবে মানুষকে খুন করা যায়?’, ‘বিদেশে খুন করলে শাস্তি কী?’, ‘ছুরি দিয়ে কাউকে খুন করা কতটা সহজ?’
আদালতে বিজুর বয়ান পেশ করা হয়। সেই বয়ানে দাবি করা হয়েছে, ঘটনার দিন রেস্তরাঁতে ঢুকে একটি টেবিলে গিয়ে বসেছিলেন শ্রীরাম। তার পর তাঁর মোবাইল নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি শুরু করেন। মোবাইল ঘাঁটতে ঘাঁটতে কিছুটা উত্তেজিতও হয়েও পড়েছিলেন অভিযুক্ত। তার পর তিনি বিজুর কাছে যান এবং আবারও বিয়ের প্রস্তাব দেন। যা শুনে বিরক্ত হন বিজু। স্পষ্ট জানান, বিয়েতে রাজি নন তিনি। তার পরই পকেট থেকে ছুরি বার করে গলা লক্ষ্য করে হামলা চালান শ্রীরাম। এই মামলায় আদালত অভিযুক্ত যুবককে আগেই দোষী সাব্যস্ত করেছিল। এ বার ১৬ বছরের কারাদণ্ড দিলেন বিচারক।