Viral Video

সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ, বৃদ্ধ বাবাকে ঘুষি মারতে মারতে মেরেই ফেললেন ছেলে! প্রকাশ্যে ভিডিয়ো

তামিলনাড়ুর একটি ভিডিয়ো সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা গিয়েছে, বৃদ্ধ বাবাকে নির্বিচারে পর পর ঘুষি মারছেন যুবক। বৃদ্ধ সেই আঘাতে রক্তাক্ত হয়েছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:২৪
Share:

বাবাকে ঘুষি মারছেন ছেলে। ছবি: ভিডিয়ো থেকে।

সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে বাবাকে খুনের অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। বৃদ্ধ বাবার মুখে পর পর ঘুষি মারেন তিনি। সেই আঘাতেই সংজ্ঞা হারিয়েছিলেন বৃদ্ধ। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। গোটা ঘটনার ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যা দেখে ছেলের নৃশংসতায় শিউরে উঠছেন নেটাগরিকেরা।

Advertisement

ঘটনাটি তামিলনাড়ুর পেরম্বলুরের। মৃতের নাম কুলানধাইভেলু (৬৫)। গত ১৮ এপ্রিল তাঁর মৃত্যু হয়েছে। অভিযোগ, বৃদ্ধের পুত্র সন্তোষ তাঁকে মারধর করেছিলেন। হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় বৃদ্ধকে। মারধরের কয়েক দিন পর হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, একটি বেঞ্চের উপর বসে আছেন বৃদ্ধ। তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে বৃদ্ধের মুখে এলোপাথাড়ি ঘুষি মারছেন যুবক। মার খেয়ে পড়ে গেলেও বাবাকে রেহাই দিচ্ছেন না ছেলে। এক সময় তাঁকে থামতে দেখা যায়। মারের চোটে বৃদ্ধের নাক-মুখ থেকে রক্ত বেরোতে থাকে। তিনি বেঞ্চের উপরে এক দিকে হেলে পড়ে যান। তার পরেও আবার ফিরে এসে তাঁকে ঘুষি মারতে শুরু করেন যুবক।

Advertisement

বৃদ্ধকে মারতে দেখে এর পর পরিবারের সদস্যেরা ছুটে আসেন। যুবককে সেখান থেকে বার করে দেওয়া হয়। তার পর অসুস্থ, আহত বৃদ্ধকে বসিয়ে ডাকাডাকি করতে শুরু করেন পরিবারের সদস্যেরা। কিন্তু বৃদ্ধ সাড়া দেননি। তিনি সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েছিলেন। ভাইরাল এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।

এই ঘটনায় পরিবারের তরফে থানায় প্রথমে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। পরে তা তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে বৃদ্ধের মৃত্যুর পর আবার যুবকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পরিবারের সদস্যেরা। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সমাজমাধ্যমে এই ভিডিয়োটি নেটাগরিকদের চর্চার কেন্দ্রে উঠে এসেছে। যুবকের নৃশংসতায় শিউরে উঠেছেন অনেকে। তাঁর এই আচরণের প্রতিবাদ জানিয়েছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। এই ঘটনা দেখে মানুষের মধ্যেকার মানবিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন কেউ কেউ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement