—প্রতীকী ছবি।
ছেলের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে দ্বিতীয় স্ত্রীর। সন্দেহের বশে তাই তাঁকে গলা কেটে খুন করলেন স্বামী। এই কাজে বাবাকে সাহায্য করলেন অন্য ছেলেরাও। এমনই নৃশংস ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বান্দা জেলায়।
গত শুক্রবার মুন্ডুহীন একটি দেহ উদ্ধার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে মৃত মহিলার নাম মায়াদেবী। বয়স বছর চল্লিশ। দেহটি খতিয়ে দেখার পর পুলিশ আবিষ্কার করে যে, মহিলার একটি হাতের চারটি আঙুল কেটে নেওয়া হয়েছে। ভারী কিছু দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে দাঁত। এমনকি ছিঁড়ে নেওয়া হয়েছে চুলও।
প্রাথমিক তদন্তে নেমে মহিলার বাড়ির সদস্যদের ভূমিকা খতিয়ে দেখে পুলিশ। পুলিশ জানতে পারে মৃত মহিলা আদতে মধ্যপ্রদেশের ছতরপুর জেলার বাসিন্দা। প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা রামকুমার ওই মহিলাকে বিবাহ করেন। পুলিশি জেরার মুখে অভিযুক্ত স্বামী রামকুমার স্বীকার করেন যে, তিনিই ছেলেদের সাহায্য নিয়ে স্ত্রীকে খুন করেছেন।
খুনের কারণ হিসাবে তিনি জানান, প্রথম পক্ষের এক পুত্রসন্তানের সঙ্গে দ্বিতীয় স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক ছিল, এমনটা সন্দেহ করেই রাগে খুন করেছেন তিনি। প্রথমে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার পর কুড়ুল দিয়ে দেহ থেকে মাথা আলাদা করার কথাও কবুল করেছেন তিনি। এই ঘটনায় রামকুমার ছাড়াও তাঁর পুত্র সুরজ প্রকাশ, ব্রিজেশ প্রকাশ এবং ভাইপো উদয়ভানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দেহ উদ্ধারের পর মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের ধরতে পারার জন্য তদন্তকারীদের ২৫ হাজার টাকা পুরস্কার হিসাবে দিয়েছেন পুলিশ সুপার অঙ্কুর আগরওয়াল।