প্রতীকী চিত্র।
মাকে দেখাশোনা করার দায়িত্ব ছেলের। সে জন্য মাকে যদি মাসে মাসে টাকা দেন তবে তা গার্হস্থ্য হিংসার মধ্যে পড়ে না। স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর আনা অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে জানাল আদালত।
মুম্বইয়ের একটি দায়রা আদালতে এক মহিলা আদালতে তাঁর স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, মায়ের অসুস্থতার কথা গোপন করে তাঁকে বিয়ে করেছিলেন তাঁর স্বামী। তিনি প্রতারিত হয়েছেন বলে অভিযোগ মামলাকারীর। মহিলার আরও দাবি, তাঁর শাশুড়ি প্রথম থেকেই তাঁর চাকরি করা নিয়ে আপত্তি করেছেন। তাঁকে হয়রানি করা হত। এমনকি, মায়ের কথা শুনে তাঁর স্বামী ঝগড়া করতেন অভিযোগকারীর সঙ্গে।
মহিলার আরও অভিযোগ, চাকরি সূত্রে প্রায় ১০ বছর তাঁর স্বামী দেশের বাইরে ছিলেন। তবে যখনই ছুটিতে বাড়ি ফিরতেন, তখনই মাকে দেখতে ছুটে যেতেন তিনি। মাকে টাকা পাঠাতেন বিদেশ থেকে। শাশুড়ির চোখের অস্ত্রোপচারের জন্যও টাকা দিয়েছিলেন তাঁর স্বামী, আদালতে এমনই দাবি করেন মামলাকারী।
একই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে তিনি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন। গার্হস্থ্য হিংসা আইনে স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে মামলাটি করেছিলেন ওই মহিলা। সেই মামলার শুনানিতে মামলাকারীর সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তাঁর স্বামী। পাল্টা স্ত্রীর বিরুদ্ধেই নানা অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
ওই ব্যক্তির অভিযোগ, তিনি যখন বিদেশে ছিলেন তাঁর স্ত্রী তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ২১ লাখ টাকা না জানিয়েই তুলে নেন। তার পর সেই টাকায় নিজের নামে একটি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন। শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখতেন না বলেও অভিযোগ মামলাকারীর স্বামীর।
ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আবেদনকারীর মামলা খারিজ করে দিয়েছিল। তার পরই দায়রা আদালতে স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে ফৌজিদারি মামলা করেন ওই মহিলা। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি ছিল। দায়রা আদালতের বিচারক (অতিরিক্ত) আশিস আয়াচিত মামলা খারিজ করে বলেন, ‘‘মামলাকারী তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছেন, তা ‘অস্পষ্ট’। অভিযোগ প্রমাণ করা যাচ্ছে না। মহিলা সরকারি চাকরি করেন। বেতনও পান।’’ তার পরই বিচারক বলেন, ‘‘মামলাকারীর স্বামী তাঁর মাকে সময় দেন এবং টাকা দেন তা একেবারেই গার্হস্থ্য হিংসা হিসাবে বিবেচনা করা যাবে না।’’