— প্রতীকী ছবি।
স্ত্রী বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। এই সন্দেহের বশে স্ক্রুড্রাইভার দিয়ে খুঁচিয়ে স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। পরে স্বামীও আত্মঘাতী হন। দিল্লির নারেলা এলাকার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। দাম্পত্য কলহের এই পরিণতি দেখে শিউরে উঠছেন মানুষ।
নারেলার স্বতন্ত্রনগরে থাকতেন পেশায় সিসিটিভি মিস্ত্রি ৪৫ বছরের বিনোদ এবং তাঁর স্ত্রী ৩৮ বছরের কোমল। তাঁদের দুই সন্তান ১১ এবং ১৫ বছর বয়সের। সংসার চালাতে কোমলও একটি গুদামে কাজ করতেন। গত ১৮ বছর ধরে ভালই চলছিল সংসার।
সম্প্রতি বিনোদের সন্দেহ হয়, কোমল অন্য কারও সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। তা নিয়ে স্বামী, স্ত্রীতে ঝগড়াও হত নিত্য। বুধবার সকালে এ নিয়েই স্বামী-স্ত্রীতে লেগে যায়। রাগের মাথায় স্ক্রুড্রাইভার দিয়ে কোমলকে খুন করেন বিনোদ। মৃত্যু নিশ্চিত করতে ছুরিও মারা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। এর পর নিজেও ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন বিনোদ।
আর এই গোটা ঘটনার সময় দুই সন্তানকে বাড়ি থেকে বার করে দিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন তাদের মা, বাবা। ফলে বাচ্চারা কিছুই বুঝতে পারেনি, ভিতরে কী চলছে। বেশ কয়েক বার দরজায় ধাক্কা দেওয়ার পরেও মা, বাবা দরজা না খোলায় দুই সন্তান চলে যায় বাড়িওয়ালার কাছে। তারা সব খুলে বলে বাড়িওয়ালাকে। তিনি বিনোদের ঘরের দরজায় ধাক্কা দেন। কিন্তু দরজা খোলেনি। তখন পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখতে পায়, মেঝেয় পড়ে রয়েছে কোমলের রক্তাক্ত দেহ। তার পাশে ঝুলছেন বিনোদ। কোমলের পাশে একটি রক্তাক্ত স্ক্রুড্রাইভার, একটি রক্তমাখা ইট ও ছুরি পড়েছিল। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা তা সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছেন।