ভীম আর্মি প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ (বাঁ দিকে)। হামলায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি তিনি। ছবি: সংগৃহীত।
ভীম আর্মি প্রধান তথা দলিত নেতা চন্দ্রশেখর আজাদকে গুলি করার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বৃহস্পতিবার চার জনকে আটক করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। দুষ্কৃতীরা যে গাড়িতে করে এসে হামলা চালিয়েছিল, সেই গাড়িটিকেও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গাড়িটিতে হরিয়ানার নম্বরপ্লেট লাগানো রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
বুধবার বিকেলে ছোট ভাই এবং আরও চার জনকে সঙ্গে নিয়ে সহরানপুরের দেওবন্দে এক সমর্থকের বাড়িতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন চন্দ্রশেখর। সেই সময় দেওবন্দ থানা এলাকায় আচমকাই একটি গাড়ি দলিত নেতার কনভয়ের মধ্যে ঢুকে পড়ে। তার পরই তাঁকে লক্ষ্য করে গাড়ির পিছন দিক থেকে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। প্রায় চার রাউন্ড গুলি চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় তারা। একটি গুলি দলিত নেতা চন্দ্রশেখরের পেট ছুঁয়ে বেরিয়ে গিয়েছে। আহত অবস্থায় তাঁকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁর।
হাসপাতাল সূত্রে বৃহস্পতিবার জানানো হয়েছে, চন্দ্রশেখরের অবস্থা স্থিতিশীল। তাঁর ডিজিটাল এক্সরে এবং আলট্রাসাউন্ড করানো হয়েছে। শরীরে কোনও গুলি পাওয়া যায়নি। তবে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। ভীম আর্মি প্রধান একদম ঠিক আছেন। তবে চিকিৎসকদের একটি দল তাঁর শারীরিক অবস্থার উপর নজর রাখছেন বলেও জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
অন্য দিকে, নেতার উপর এমন প্রাণঘাতী পরিস্থিতি যাতে অশান্ত না হয়ে ওঠে, হাসপাতালে শয্যা থেকেই দলীয় সমর্থক এবং কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন চন্দ্রশেখর। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে তিনি বলেন, “এ রকম আচমকা হামলা হবে ভাবতে পারিনি। তবে আমার শুভানুধ্যায়ী, বন্ধু, সমর্থকদের বলব, তাঁরা যেন শান্তি বজায় রাখেন। আমি ভাল আছি। আমাদের লড়াই জারি থাকবে।”
এই হামলার পর পরই সহরানপুরের পুলিশ সুপারকে ফোন করেছিলেন বলে জানিয়েছেন ভীম আর্মি প্রধান। তাঁর কথায়, “এতটাই ট্রমার মধ্যে চলে গিয়েছিলাম যে, আমার বিশেষ কিছু মনে নেই। কারও সঙ্গে শত্রুতাও নেই আমার। ভাই মণীশ এবং আরও চার সঙ্গীকে নিয়ে গাড়িতে করে যাচ্ছিলাম। দুষ্কৃতীরা পিছন থেকে হামলা করে। কারা হামলা চালিয়েছে দেখিনি। তবে আমার সঙ্গীরা তাঁদের হয়তো চিনতে পেরেছেন।”
সহরানপুরের পুলিশ সুপার বিপিন টাডা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।