দিল্লি সীমানায় যানজট। ছবি: পিটিআই।
পঞ্জাব, হরিয়ানার হাজার হাজার কৃষকের ‘দিল্লি চলো’ অভিযান ঘিরে গত কয়েক দিন ধরেই পুরো নিশ্চিদ্র দুর্গে পরিণত হয়েছে দিল্লি। ওই দুই রাজ্য থেকে যাতে কৃষকরা রাজধানীতে ঢুকতে না পারে, তার জন্য সীমানালাগোয়া সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথগুলিতে কড়া পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু এই কৃষক মিছিলের আগেই রাজধানীতে যানজটে নাজেহাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
কৃষক মিছিলকে আটকানোর যে বন্দোবস্ত করা হয়েছে, তার প্রভাব পড়েছে যান চলাচলের উপর। কয়েক কিলোমিটার জুড়ে শুরু গাড়ির লম্বা লাইন। দিল্লির সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের গাজ়িয়াবাদ এবং নয়ডার সংযোগকারী গাজ়িপুর এবং চিলা সীমানার মূল প্রবেশপথগুলি পুরোপুরি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে চলে গিয়েছে। ফলে পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে দিল্লিগামী গাড়িগুলি ঘুরপথে যাচ্ছে। আর তার জেরেই হাইওয়েগুলিতে কয়েক কিলোমিটার ধরে গাড়ির দীর্ঘ জটের সৃষ্টি হয়েছে। চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
ডিএনডি উড়ালপুলেও ভয়াবহ পরিস্থিতি। এক গাড়িচালক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “এক কিলোমিটার পথ যেতে এক ঘণ্টারও বেশি সময় লাগছে। সামনের রাস্তা বন্ধ। ইউটার্ন নেওয়ারও কোনও জায়গা নেই। ফলে কয়েক ঘণ্টা ধরে যানজটে আটকে রয়েছি।” দিল্লির সঙ্গে গুরুগ্রাম সংযোগকারী ৪৮ নম্বর জাতীয় সড়কেও দীর্ঘ যানজট। দিল্লিতে ঢোকার আগে প্রতিটি গাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। গাজ়িপুর, সিঙ্ঘু, টিকরি সীমানাকে পুরোপুরি দুর্গে পরিণত করা হয়েছে। ডিএনডি সীমা হয়ে যাঁরা দিল্লি আসছেন, তাঁদের ফিল্ম সিটি এবং সেক্টর ১৮ হয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যাঁরা চিলা সীমানা দিয়ে দিল্লিতে আসতে চাইছেন, তাঁদের ১৪এ উড়ালপুল, রাউন্ডঅ্যাবাউট চক, ঝুন্ডাপুরা চক হয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে।
দিল্লি সীমানায় কয়েক স্তরীয় নিরাপত্তার বলয় তৈরি করা হয়েছে। কংক্রিট, কাঁটাতারের ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া যাতে কৃষকরা ট্র্যাক্টর নিয়ে এগোতে না পারে তার জন্য রাস্তায় পেরেক পোঁতা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় পঞ্জাব থেকে দিল্লির উদ্দেশে কয়েক হাজার ট্র্যাক্টর নিয়ে রওনা হয়েছেন কৃষকরা। কৃষকদের কর্মসূচির আগে দিল্লিতে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। এক মাস অর্থাৎ, ১২ মার্চ পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে রাজধানীতে।