অরবিন্দ কেজরীওয়াল এবং অতিশী মারলেনা (ডান দিকে)। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
একটি টাকা তছরুপ সংক্রান্ত মামলার তদন্তে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের ব্যক্তিগত সচিবের বাড়িতে হানা দিল ইডি। তা ছাড়াও আপের এক রাজ্যসভার সাংসদের বাড়ি-সহ অন্তত ১২ জায়গায় মঙ্গলবার সকাল থেকে তল্লাশি চালাচ্ছেন ইডি আধিকারিকেরা। তল্লাশি চলছে বেশ কয়েক জন আপ কর্মী-সমর্থকের বাড়িতেও।
মঙ্গলবার সকালেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা হানা দেন কেজরীওয়ালের ব্যক্তিগত সচিব বিভাব কুমার, দিল্লির জল বোর্ডে (ডিজেবি)-এর সদস্য শলভ কুমার এবং আপের রাজ্যসভার সাংসদ তথা দলের কোষাধ্যক্ষ এনডি গুপ্তের বাড়িতে।
কিন্তু কী অভিযোগ রয়েছে এই টাকা তছরুপের মামলায়? দিল্লির আপ সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন জল বোর্ডে দরপত্র আহ্বানের ক্ষেত্রে ‘অনিয়ম’ হয়েছে বলে অভিযোগ। এর আগে এই প্রেক্ষিতে অভিযোগ দায়ের করেছিল সিবিআই এবং দিল্লি সরকারের দুর্নীতিবিরোধী শাখা (এসিবি)। তার ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করে ইডি। সিবিআইয়ের অভিযোগে বলা হয়, দরপত্র আহ্বানের সময় একটি সংস্থাকে ‘অন্যায় সুবিধা’ পাইয়ে দেওয়া হয়। এর আগে এই মামলায় অর্থ তছরুপ প্রতিরোধ আইনে দিল্লি জল বোর্ডের এক ঠিকাদার অনিল কুমার আগরওয়ালকে গ্রেফতার করে ইডি।
অন্য দিকে, মঙ্গলবার সকালেই আপ নেতা তথা দিল্লি সরকারের মন্ত্রী অতিশী মারলেনা অভিযোগ করেন যে, অধিকাংশ তদন্তে সাক্ষীদের ‘অডিয়ো রেকর্ড’ সংবলিত বয়ান মুছে ফেলছে ইডি। এর মধ্যে দিল্লির আবগারি দুর্নীতির তদন্তও রয়েছে বলে জানান অতিশী। এই দুর্নীতি মামলায় ইডি কেজরীওয়ালকে পাঁচ বার সমন পাঠিয়ে তলব করলেও প্রতি বারই হাজিরা এড়ান তিনি।মঙ্গলবার অতিশী বলেন, “এক অভিযুক্ত তাঁর আবেদনে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশ্যে আনার কথা জানান। কারণ তিনি জিজ্ঞাসাবাদের মুখে যা বলেছিলেন, আর আদালতে যা পেশ করা হয়েছে, সেই দু’টির মধ্যে ফারাক আছে। ইডি যে ফুটেজ দিয়েছে, তাতে কোনও অডিয়ো ছিল না।” ইডি সূত্রে খবর, আপের অভিযোগের পাল্টা কেজরীওয়ালের দলের নেতাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার কথা ভাবছে তারা।