Bengaluru Techie Suicide

মাত্র একটি ফোন কল! ফাঁদে পা দিলেন ফেরার নিকিতা, পুলিশের জালে আত্মঘাতী অতুলের স্ত্রী

নিকিতারা ‘ফেরার’ হতেই নড়েচড়ে বসে বেঙ্গালুরু পুলিশ। এর পর উত্তরপ্রদেশে পৌঁছে যায় পুলিশের একটি দল। সিমকার্ড ছাড়া হোয়াট্‌সঅ্যাপে ফোন করছিলেন বলে নিকিতার নাগাল পেতে বেগ পেতে হচ্ছিল পুলিশকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮:২৬
Share:

বেঙ্গালুরুর আত্মঘাতী যুবক অতুল সুভাষ। — ফাইল চিত্র।

স্ত্রীর দায়ের করা বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় হয়রানির জেরে অবসাদে আত্মঘাতী হয়েছেন বেঙ্গালুরুর যুবক অতুল সুভাষ। অভিযোগ এমনটাই। তা নিয়ে দেশজোড়া বিতর্কের মুখে রবিবার গুরুগ্রাম থেকে অতুলের স্ত্রী নিকিতা সিংহানিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে! পাশাপাশি, গ্রেফতার হয়েছেন নিকিতার মা নিশা সিংহানিয়া এবং ভাই অনুরাগ সিংহানিয়াও। অভিযোগ, আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু কী ভাবে সুদূর উত্তরপ্রদেশে থাকা নিকিতার খোঁজ পেল বেঙ্গালুরু পুলিশ?

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অতুল-মামলাকে ঘিরে বিতর্ক শুরু হতেই ঘরছাড়া হন উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরের বাসিন্দা নিকিতারা। ফোনও ছিল বন্ধ। গ্রেফতারি এড়াতে বার বার অবস্থান বদলাচ্ছিলেন তিনি। শুধুমাত্র হোয়াট্‌সঅ্যাপেই পরিচিতদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন নিকিতা। ফোনও করতেন সেখানেই।

নিকিতারা ‘ফেরার’ হতেই নড়েচড়ে বসে বেঙ্গালুরু পুলিশ। এর পর উত্তরপ্রদেশে পৌঁছে যায় বেঙ্গালুরু পুলিশের একটি দল। সিমকার্ড ছাড়া হোয়াট্‌সঅ্যাপে ফোন করছিলেন বলে নিকিতার নাগাল পেতে বেগ পেতে হচ্ছিল পুলিশকে। কিন্তু মাঝে এক বার ভুলবশত ফোন চালু করে ফেলেন নিকিতা! আর তা-ই কাল হল! মোবাইল ফোনের টাওয়ারের সূত্র ধরে গুরুগ্রাম থেকে নিকিতাকে ধরে ফেলল পুলিশ। তাঁর মা ও ভাইকে ধরা হয়েছে প্রয়াগরাজ থেকে। তবে চতুর্থ অভিযুক্ত তথা নিকিতার কাকা সুশীল সিংহানিয়া এখনও পলাতক। বাকি তিন জনকে দু’সপ্তাহের জন্য বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

অতুল আত্মহত্যা করার পর থেকেই বার বার তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী নিকিতা ও তাঁর পরিবারের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। গত সোমবার ভোরে নিজের ঘর থেকে বেঙ্গালুরুর তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরত যুবক অতুলের দেহ উদ্ধার হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টার একটি ভিডিয়ো ছাড়াও ২৪ পাতার একটি সুইসাইড নোট রেখে যান অতুল, যার ছত্রে ছত্রে নিকিতা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে নানা গুরুতর অভিযোগ! উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরের পারিবারিক আদালতে অতুল-নিকিতার বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছিল। অতুলের পরিবারের অভিযোগ, মামলা চলাকালীন টাকা আদায় করতে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে পণ চাওয়া, অস্বাভাবিক যৌনতা, বধূ নির্যাতন এবং খুনের চেষ্টার মতো নানা গুরুতর অভিযোগে অতুলকে ফাঁসানো হয়। নিকিতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করেন তাঁরা। মামলা রুজু হয় ভার‌তীয় ন্যায় সংহিতার ১০৮ এবং ৩(৫) ধারায়। ওই মামলাতেই নিকিতা-সহ তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement