ফাইল ছবি।
মুদ্রাস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের স্বস্তি দিয়ে বাড়তে চলেছে মহার্ঘ ভাতা (ডিয়ারনেস অ্যালায়েন্স বা ডিএ)। সম্ভবত আগামী মাসে বেতনের সঙ্গে বর্ধিত ডিএ-ও পেতে চলেছেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা। এর ফলে উপকৃত হবেন এক কোটিরও বেশি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী ও পেনশন প্রাপক।
সর্বভারতীয় ভোগ্যপণ্যের মূল্য সূচক (অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স বা এআইসিপিআই) বর্তমানে ১২৭ পয়েন্ট। বিভিন্ন সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এই কারণে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ ৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। তা যদি হয়, তাহলে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ ৩৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৯ শতাংশ হতে পারে।
গত জানুয়ারিতে এআইসিপিআই-এর উপর ভিত্তি করে সপ্তম বেতন কমিশনের অন্তর্গত কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ সংশোধিত হয়ে ৩১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে করা হয় ৩৪ শতাংশ। এ বছর এপ্রিলে খুচরো মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৭.৭৯ শতাংশ। যা গত আট বছরে সর্বোচ্চ।
এর আগে ২০২১-এর জুলাইয়ে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ডিএ এবং ও পেনশনভোগীদের মহার্ঘ ত্রাণ (ডিয়ারনেস রিলিফ বা ডিআর) ১৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৮ শতাংশ করে কেন্দ্র। একই বছর অক্টোবরে আবার কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা ৩ শতাংশ ডিএ পান। ফলে গত বছর জুলাই থেকেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ পৌঁছয় ৩১ শতাংশে। এখন, ২০২২-এর জানুয়ারি থেকে বেতন ও পেনশনভোগীদের যথাক্রমে ডিএ ও ডিআর ৩১ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৪ শতাংশে পৌঁছয়।
যদিও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ২০২০-এর জানুয়ারি থেকে ২০২১-এর জুন পর্যন্ত বকেয়া ডিএ এবং বকেয়া দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা কেন্দ্রীয় সরকারের আপাতত নেই। প্রসঙ্গত, বছরে দু’বার— জানুয়ারি ও জুলাই মাসে ডিএ বৃদ্ধি করে সরকার।